পবিত্র ঈদুল আজহা বা কুরবানির ঈদে গরু ও খাসিসহ রকমারি মাংস খাওয়া হয়। বলা যায় মাংসের রকমারি পদের খাবার রান্না হয় প্রায় সবার বাসা-বাড়িতে। বিভিন্ন ধরনের মাংসের মধ্যে অন্যতম গরুর মাংস। খাওয়ার আগে যা জানা প্রয়োজন: গরুর মাংসে অ্যানাফিল্যাক্সিস নামক সৃষ্ট যৌগ রয়েছে। এটি অনেকের ক্ষেত্রেই অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া তৈরি করার সম্ভাবনা রাখে। এ জন্য পরিমিত পরিমাণে খেতে হবে। গরুর মাংস পছন্দের হলেও এটি পরিমাণে কম খেতে হবে। উচ্চমানের প্রোটিন সমৃদ্ধ এই মাংস। চিকিৎসকরা দিনে ৭০ গ্রাম বা সপ্তাহে ৫০০ গ্রামের বেশি প্রোটিন গ্রহণ করা ঠিক নয় বলে জানিয়ে থাকেন। প্রতিদিনের প্রোটিনের চাহিদা কেবল মাংস দিয়ে পূরণ করা যাবে না। বিকল্প খাবার থেকেও গ্রহণ করতে পারেন। গরুর মাংস খাওয়ার নিরাপদ পরিমাণ হচ্ছে সপ্তাহে দুই দিন ১৫৪ গ্রাম করে। প্রতি বেলায় ২-৩ টুকরোর বেশি নয়। ফলে ৬২ ক্যালরি পাবেন, যা দৈনিক প্রয়োজনীয়ের তিন থেকে পাঁচ শতাংশ ক্যালরির জোগান সরবরাহ করে। যেসব রোগ থাকলে সতর্কতা: এদিকে অনেকেরই রক্তে থ্যালাসেমিয়া বা হেমাক্রোমাটোসিস নামক রোগ রয়েছে। এ ধরনের রোগীদের গরুর মাংস খাওয়া ঠিক নয়। কেননা, গরুর মাংসে আয়রন থাকে। বাতব্যথা বা ইউরিক অ্যাসিড যদি বেশি থাকে, তাহলে গরুর মাংস না খাওয়াই বালো। কেননা, মাংসে পিউরিনের পরিমাণ বেশি থাকে। পিউরিন হচ্ছে খাদ্য বিপাক থেকে সৃষ্ট পদার্থ। আবার কিডনির সমস্যাও থাকে অনেকের। এ রোগ থাকলে অবশ্যই চিকিৎসের পরামর্শ ছাড়া গরুর মাংস খাওয়া ঠিক হবে না। স্বাস্থ্য বা কোলেস্টেরল বেশি থাকলে দুই-এক টুকরোর বেশি গরুর মাংস খাওয়া ঠিক নয়। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিন। গ্যাসট্রিক-আলসার, আইবিএস, লিভার বা অন্য কোনো পেটের সমস্যা থাকলে ভুনাজাতীয় খাবার, বেশি ঝাল-মশলা খাবেন না।
Mtv channel
0
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন