মে, ২০২৫ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

এবার বিশ্ব সিনেমায় তিনি এতোটা জনপ্রিয় যে তার নাম শুনলেই আপ্লুত হয়ে পড়েন অনুরাগীরা। অ্যাকশন সিনেমায় পৃথিবীর বুকে নতুন এক দিগন্ত উন্মোচন করেছেন তিনি। দিয়েছেন অসংখ্য হিট, আইকনিক সব সিনেমা। বলছিলাম নব্বইয়ের দশকের সিনেমাপ্রেমীদের সর্বাধিক প্রিয় অভিনেতা জ্যাকি চানের কথা! শুধু অভিনেতা হিসেবেই নয়, মানুষ হিসেবেও অনবদ্য এই তারকা। অনেক মানবিক কাজেই অংশগ্রহণ করেছেন। দান দক্ষিণায়ও তিনি অনন্য। তার আলোচিত জীবনদর্শনের অন্যতম অধ্যায় নিজের সম্পত্তির দান। মানবিক জ্যাকি চান নিজের ৪ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি দান করেছেন ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার উদ্দেশ্যে। এমনকী নিজের বিপুল সম্পত্তির একটা কানাকড়িও নিজের সন্তানকে দেননি এ অভিনেতা। ভারতীয় গণমাধ্যমে উঠে এসেছে, জ্যাকি চানের নিজের এক অলাভজনক সংস্থা রয়েছে। যেখানে সমাজের প্রান্তিক মানুষ ও শিক্ষার্থীদের অর্থসাহায্য করা হয়ে থাকে। গত বছর এক অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে জ্যাকি চ্যান ঘোষণা করেন, তার সম্পত্তির কানাকড়িও পাবেন না ছেলে। বরং তা দান করা হবে সেই অলাভজনক সংস্থায়। কিন্তু নিজের সন্তানকে বঞ্চিত করলেন কেন? তাঁর নেপথ্যে যুক্তি দিয়েছিলেন জ্যাকি। তিনি বলেন, ‘যদি আমার ছেলের মধ্যে মেধা থাকে তবে ও নিজেই পয়সা রোজগার করতে পারবে। নয়তো আমার সম্পত্তি পেলে তা সে শুধুই নষ্ট করবে।’ জ্যাকির এই ঘোষণায় তোলপাড় হয়েছিল অনুরাগী মহলে। মৌখিক ঘোষণা করলেও আনুষ্ঠানিক ভাবে এখনও সেই কাজ জ্যাকি সম্পন্ন করেছেন কিনা তা জানা যায়নি। জ্যাকি চ্যানের ছেলের নাম জ্যাসি চ্যান। এই মুহূর্তে ৪৩ বছর বয়স তার। বাবার মতো তিনিও যুক্ত ফিল্মি দুনিয়ার সঙ্গে। গায়ক, অভিনেতা, পরিচালক- এই সব ভূমিকাতেই দেখা গিয়েছে তাকে। যদিও বাবার মতো জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারেননি জ্যাসি।

কক্সবাজারের উখিয়া - টেকনাফের ৩২ রোহিঙ্গা ক্যাম্পের স্কুলে চাকুরিরত হোস্ট টিচারদের বেতন বৃদ্ধিসহ চার দফা দাবীতে মানববন্ধন করেছে। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টারদিকে হ্নীলা স্টেশনে কক্সবাজার-টেকনাফের প্রধান সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। জানা যায়, উখিয়া টেকনাফে আন্তর্জাতিক এনজিও সংস্থা ইউনিসেফ, ইউএনএইচসিআর ও সেভ দ্যা চিলড্রেন এর অর্থায়নে পরিচালনাধীন ৩২ টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৯ টি অর্গানাইজেশন শিক্ষা প্রকল্পের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে । ওই ৩২ টি ক্যাম্পে প্রায় ৪ হাজারের বেশি শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন । তারা বিগত- ২০১৭ ইং সাল হতে অদ্যাবধি প্রকল্পে অর্গানাইজেশন কর্তৃক অর্পিত দায়িত্বসহ শিক্ষকতা করে আসছে। এসময়ের মধ্যে দেশে দ্রব্যমুল্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদীর মুল্য বৃদ্ধি পেলেও বাড়েনি শিক্ষকদের বেতন। স্বল্প বেতনে নুন আনতে পান্তাভাত পুরোয় অবস্থা। শিক্ষকবৃন্দ বেতন সর্বনিম্ন ২০ হাজার টাকা করার দাবী জানিয়ে ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছে । কিন্তু এতে টনক নড়েনি কর্তৃপক্ষের। ফলে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে শিক্ষকবৃন্দ। উল্লেখ্য যে, হোস্ট টিচাররা বেতন বাড়ানোর দাবী জানিয়ে আসলেও উল্টো রোহিঙ্গা শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি করে । এব্যাপারে শিক্ষকবৃন্দ সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট এর সাথে একাধিকবার আলোচনা করেও সুফল পায়নি । হোস্ট কমিউনিটি শিক্ষকদের স্বল্প বেতনে সঙ্গতীপূর্ণ না হওয়ায় পরিবার এবং সন্তান - সন্ততি নিয়ে জীবন যাপনে হিমশিম খেতে হচ্ছে হোস্ট শিক্ষকদের । তাই দাবী আদায়ের লক্ষ্যে ৩২ ক্যাম্পের শিক্ষকরা রাজপথে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে। ওই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় বক্তারা চার দফা দাবী ঘোষনা করা হয়। দাবীগুলো হচ্ছে - শিক্ষকদের সর্বনিম্ন বেতন ২২ হাজার ৫'শত টাকা, মাতৃত্বকালিন ছুটি এবং ভাতা প্রদান, ক্লাস্টার সিস্টেম বাতিল এবং বিনা কারণে শিক্ষক- শিক্ষিকা ছাটাই না করা ও প্রতি বৎসর দুই ঈদে উৎসব ভাতা প্রদান করা। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, জাদিমুড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প-২৭ এর শিক্ষক মোহাম্মদ ইউনুছ, ক্যাম্প- ২৪ এর হামিদ হোছাইন হেভী, শালবাগান ক্যাম্প ২৬ এর রেজাউল করিম, ক্যাম্প ২৪ এর মাঈন উদ্দীন, আব্দুল আজিজ প্রতিক (ক্যাম্প- ২৬), অণু মারমা- (ক্যাম্প-২৭), মোরশিদা- (ক্যাম্প-২৪), বেলাল উদ্দীন- (ক্যাম্প- ২৬), সাদিয়া আক্তার- (ক্যাম্প-২৫), ইফতেখার উদ্দীন- (ক্যাম্প-২৫), সাজেদা আক্তার- (ক্যাম্প- ২৫), নুরুল আবছার - (ক্যাম্প ২৭), সঞ্চাচলানায় ছিলেন, আফসানা ফাতেমা হোসাইন- (ক্যাম্প- ২৭)। এব্যাপারে জানতে চাইলে কোডেক এর লেদা এরিয়া ওনার ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর সুমন সিকদার জানান, শিক্ষকদের বিভিন্ন দাবী নিয়ে মানববন্ধনের বিষয়টি শুনেছি। এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। উল্লেখ্য যে, বর্তমানে শিক্ষকদের বেতন ১৫ হাজার ৫ 'শত টাকা করে দেয়া হচ্ছে।

গভীর নিম্নচাপ ও গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালার কারনে টানা ভারী বর্ষন ও ঝড়ো হাওয়ায় কক্সবাজারের ৯ উপজেলায় ৩৬ ঘন্টার বেশি সময় ধরে বিদ্যুৎ নেই। বুধবার বিকেলের পর থেকেই একেক করে উপজেলাগুলো বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন এসব এলাকায় এখন পর্যন্ত মাত্র ২০ শতাংশ বিদ্যুৎ চালুর কথা জানানো হয়েছে। এখনো বিদ্যুৎহীন ৮০ শতাংশ এলাকা। কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মকবুল আলম জানান, ভারী বর্ষনের কারণে এই বিভ্রাট। তবে বৃষ্টি কমে গেলে সব উপজেলায় পুনরায় বিদ্যুৎ চলে আসবে। মকবুল আলম বলেন, “যদি এই ভারী বর্ষন অব্যাহত থাকে তাহলে আবারো বিদ্যুৎবিহীন কাটাতে হবে।” “আমাদের একাধিক টিম কাজ করছে বিভ্রাট দূর করতে” -বলেন মকবুল। এদিকে কক্সবাজার বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল কাদের গণি টিটিএনকে জানান, ঝড় বৃষ্টিতে কোন কিছুই ভালো নেই তবে বৃষ্টি কমাই কক্সবাজার সদরে সকল ফিডার চালু হয়েছে। তবে কিছু কিছু অভিযোগ আছে, যা কাটিয়ে উঠতে কাজ করছে তারা। টানা ভারী বর্ষনে গেলো ২৪ ঘন্টায় কক্সবাজার ১৫২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে এবং সেইসাথে আরো দুই দিন বৃষ্টি ঝরবে বলে আভাস

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে কক্সবাজার উপকূলে সাগর উত্তাল রয়েছে। স্বাভাবিকের চেয়ে ৪ থেকে ৫ ফুট উচ্চতায় জোয়ারের পানি প্রবাহিত হচ্ছে। বিশাল ঢেউ সৈকতের ঝাউবাগান ও জিওব্যাগে আছড়ে পড়ছে। এতে সাগরপাড়ের নানা ধরনের পর্যটন ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে দেখা গেছে, বিশাল ঢেউ উপকূলে বারবার আঘাত করছে। কিছু ঢেউ জিওব্যাগ পেরিয়ে ঝাউবাগানে আছড়ে পড়ছে। জিওব্যাগের উপর বসে থাকা পর্যটকেরাও ঢেউয়ের কবলে পড়ছে। ঢেউয়ের তাণ্ডবে উপকূলে জেড স্কী ও পর্যটকদের বসার কিটকট (ছাতা) সরিয়ে রাখা হয়েছে। বিচ বাইক, ফটোগ্রাফার এবং অন্য ব্যবসায়ীরাও কর্মহীন হয়ে পড়েছে। ঢাকা থেকে আসা পর্যটক রশিদ আহমেদ বলেন, “সাগর এত উত্তাল আগে দেখিনি। গোসলের চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু সাহস হয়নি। ভয় লাগছে ঢেউ তুলে নিয়ে যাবে।” লাইফ গার্ড কর্মী মো. শুক্কুর বলেন, “জোয়ারের সময় ঢেউয়ের উচ্চতা বেড়ে যাচ্ছে। তাই নিরাপত্তার জন্য কাউকে সাগরে নামতে দেয়া হচ্ছে না।” ব্যবসায়ী রানা বলেন, “সৈকতের লাবণী থেকে সুগন্ধা পয়েন্ট পর্যন্ত কয়েক শত কিটকট তুলে রেখেছি। এখন ব্যবসা নেই, শুধু অপেক্ষা করছি আবহাওয়া ভালো হওয়ার।” দুপুর ১১টার পর হঠাৎ ঝোড়ো বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া শুরু হয়। অনেক পর্যটক দিগ্বিদিক ছুটোছুটি করে নিরাপদ আশ্রয় খুঁজতে থাকেন। বাতাসে উড়ে যায় ময়লা ও ছাতা। চারপাশে মেঘাচ্ছন্ন পরিবেশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আব্দুল হান্নান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় (সকাল ৯টা পর্যন্ত) জেলায় ৯১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৯ মে) ও আগামীকাল শুক্রবার (৩০ মে) ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যয় সংকোচন নীতির কার্যক্রম শেষ হয়ে আসছে। এর ফলে দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতা গ্রহণের পর সরকারি দক্ষতা বিভাগ বা ডিওজিই’র দায়িত্ব পান ইলন মাস্ক।  ইলন মাস্ককে ‘বিশেষ সরকার কর্মচারী’ হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল। এক্ষেত্রে তিনি প্রতি বছর ১৩০ দিন সরকারি দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সে হিসেবে মে মাসেই মাস্কের দায়িত্ব পালনের দিনক্ষণ শেষ হচ্ছে।  সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স পোস্টে মাস্ক সরকারি দপ্তরের দায়িত্ব দেওয়ার কারণে ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি ব্যয় সংকোচন সংস্থাটি সরকারের সর্বত্র একটি অংশ হয়ে উঠবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সরকারের বিশেষ কর্মচারী’ হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময়সীমা শেষ। এজন্য আমি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানায়। কারণ তিনি আমাকে ব্যয় সংকোচন করার দায়িত্ব দিয়েছিলেন। মাস্ক বলেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সংস্থাটি আরও শক্তিশালী হবে।  হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থা সেমাফোরকে জানিয়েছে, মাস্কের সরকারি দায়িত্ব পালনের কার্যক্রম বুধবার রাতেই শেষ হবে। 

বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে বিএনপির তিন সংগঠন ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত রাজধানীর নয়া পল্টনে শুরু হয়েছে ‘তারুণ্যের সমাবেশ’। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের বিপরীতে সমাবেশ মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। সেখানে বড় একটি ইলেক্ট্রনিক পর্দা স্থাপন করা হয়েছে, যাতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য সরাসরি দেখা যাবে। বুধবার দুপুর সাড়ে তিনটার দিকে কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে এ সমাবেশ শুরু হয়। সেখানে মঞ্চে রয়েছেন বিএনপি ও তিন সংগঠনের শীর্ষ নেতারা। সভাপতি এম মোনায়েম মুন্নার সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আগের সমাবেশগুলোর মত এবারো লন্ডন থেকে তিনি ভার্চুয়ালি যোগ দেবেন। বেলা সাড়ে ১১টা থেকেই ছোট ছোট মিছিল নিয়ে নেতা-কর্মীরা নয়া পল্টনে আসতে শুরু করেন। দুপুর ১টার নেতা-কর্মীদের উপস্থিতিতে কাকরাইল থেকে শুরু করে ফকিরাপুল মোড় পর্যন্ত সড়ক মুখর হয়ে ওঠে। ঢাকার এই সমাবেশে ফরিদপুর, সিলেট ও ময়মনসিংহ থেকে যুব দল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্র দলের নেতা-কর্মীরা যোগ দিয়েছেন। রঙ-বেরঙের ক্যাপ পরা নেতাকর্মীদের হাতে ছিল লাল-সবুজ জাতীয় পতাকা এবং দলীয় পতাকা। এ সময় ‘তারুণরা বিএনপির ভ্যানগার্ড’ বলে স্লোগান দিয়েছেন। সমাবেশ শুরুর আগে বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাস শিল্পীরা গান পরিবেশ করেছেন। সমাবেশ শুরুর আগে এম মুনায়ের মুন্না বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সারা দেশে মাসজুড়ে আমাদের যে কর্মসূচি ছিল এটা সামগ্রিভাবে সফল হয়েছে। তরুণ-যুবক-ছাত্রদের মধ্যে জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে। ‘‘ আপনি দেখুন, আজকের এই সমাবেশে লক্ষ লক্ষ তরুণ-যুবকদের উপস্থিতি। এটা কী জানান দিচ্ছে? তরুণ-যুবকরাই একটা বিশাল শক্তি।” তরুণ-যুবকদের সংগঠিত করতে বিএনপির তিন সংগঠন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল এবং ছাত্রদলের উদ্যোগে মে মাস জুড়ে সারাদেশের ১০টি সাংগঠনিক বিভাগকে ৪টি বৃহত্তর বিভাগে ভাগ করে চারটি বড় বিভাগ ও শহরে ‘সেমিনার’ এবং ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ করার কর্মসূচির ঘোষণা করেছিল। যা নয়া পল্টনের সমাবেশের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি হতে যাচ্ছে। এর অংশ হিসেবে গত ৯ ও ১০ মে চট্টগ্রাম, ১৬ ও ১৭ মে খুলনা এবং ২৩ ও ২৪ মে বগুড়া সেমিনার ও সমাবেশ হয়েছে। চট্টগ্রামে ‘কর্মসংস্থান ও বহুমাত্রিক শিল্পায়ন নিয়ে তারুণ্যের ভাবনা’, খুলনায় ‘শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও মৌলিক অধিকার নিয়ে তারুণ্যের ভাবনা’ এবং বগুড়ায় ‘কৃষি উন্নয়ন, পরিবেশ রক্ষা ও নাগরিক সমস্যা নিয়ে তারুণ্যের ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। রাজধানীতে মঙ্গলবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইন্সটিটউট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক ভাবনা ও অর্থনৈতিক মুক্তি’ শীর্ষক সেমিনার। তারুণের এই সমাবেশের বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহ উদ্দিন আহমেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী ও ছাত্র দলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বক্তব্য রাখবেন।

টেকনাফে যৌথ অভিযানে ই'য়া'বা, ই'য়া'বা তৈরির কাঁচামাল ও আ'ই'স জব্দ। বুধবার ২৮ মে ২০২৫ তারিখ দুপুরে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ ২৮ মে ২০২৫ তারিখ বুধবার মধ্যরাত ২ টা ৩০ মিনিটে কোস্ট গার্ড স্টেশন টেকনাফ ও র‍্যাব-১৫ (সিপিসি-১) এর সমন্বয়ে টেকনাফের মহেশখালীয়া পাড়া মেরিন ড্রাইভের পূর্ব-পার্শ্বে হ্যাচারী সংলগ্ন এলাকায় একটি যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান চলাকালীন উক্ত এলাকায় র‌্যাব ডগ স্কোয়াডের সাহায্যে জঙ্গলের ভিতরে অভিনব কায়দায় লুকায়িত অবস্থায় হালকা হলুদ রঙের একটি বস্তা শনাক্ত করা হয়। পরবর্তীতে, উক্ত বস্তাটি তল্লাশি করে ১ লক্ষ ৩০ হাজার পিস ইয়াবা, ১ কেজি সম্ভাব্য ইয়াবা তৈরীর কাঁচামাল (পাউডার) ও ১ কেজি ক্রিস্টাল মেথ (আইস) জব্দ করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ১২ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা। জব্দকৃত মাদকদ্রব্যের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তিনি আরও বলেন, দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ২৪ ঘন্টা টহল জারি রেখেছে। যার মাধ্যমে কোস্ট গার্ডের আওতাধীন উপকূলীয় এবং নদী তীরবর্তী অঞ্চলের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও সকল ধরনের মাদক পাচার রোধ অনেকাংশে উন্নত হয়েছে। অবৈধ মাদকদ্রব্য পাচার রোধকল্পে কোস্ট গার্ড কর্তৃক ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

মানুষের জীবন মাত্রই সুখ-দুঃখের মিলিত রূপ। সুখের পাশাপাশি দুঃখের হাত থেকেও নিস্তার নেই কারও। জরা, রোগ, মৃত্যু- এ সবই দুঃখ। বুদ্ধের মতে  মানুষের কামনা-বাসনাই দুঃখের মূল। মাঝে মাঝে যে সুখ আসে তাও দুঃখের মিশেলে এবং অস্থায়ী। অবিমিশ্র সুখ বলে কিছু নেই। গৌতম বুদ্ধ বলেন, নির্বাণ লাভ কিংবা কামনা-বাসনা থেকে মুক্তি লাভে দুঃখের অবসান ঘটে। এর মধ্য দিয়ে দূর হয় অজ্ঞানতা। মেলে পূর্ণ শান্তি। সত্যজ্ঞান, আনন্দ এবং ইতিবাচকতার জন্য আমরা তাই বুদ্ধের কাছে যাই। সুখের সন্ধানে অনুসরণ করি তাঁর বাণী। নিচে গৌতম বুদ্ধে ৩১টি বাণী তুলে ধরা হলো। এগুলোই হয়তো পাল্টে দেবে আপনার জীবনকে, এর মধ্যে হয়তো পেয়ে যাবেন সুখের ঠিকানা। ১। অতীতকে প্রাধান্য দিও না, ভবিষ্যত নিয়ে দিবাস্বপ্নও দেখবে না। তার চেয়ে বরং বর্তমান মুহূর্ত নিয়ে ভাবো। ২। সবকিছুর জন্য মনই আসল। সবার আগে মনকে উপযুক্ত করো, চিন্তাশীল হও। আগে ভাবো তুমি কী হতে চাও। ৩। আনন্দ হলো বিশুদ্ধ মনের সহচর। বিশুদ্ধ চিন্তাগুলো খুঁজে খুঁজে আলাদা করতে হবে। তাহলে সুখের দিশা তুমি পাবেই। ৪। তুমিই কেবল তোমার রক্ষাকর্তা, অন্য কেউ নয়। ৫। জীবনের প্রথমেই ভুল হওয়া মানেই এই নয় এটিই সবচেয়ে বড় ভুল। এর থেকে শিক্ষা নিয়েই এগিয়ে যাও। ৬। অনিয়ন্ত্রিত মন মানুষকে বিভ্রান্তিতে ফেলে। মনকে প্রশিক্ষিত করতে পারলে চিন্তাগুলোও তোমার দাসত্ব মেনে নেবে। ৭। তোমাদের সবাইকে সদয়, জ্ঞানী ও সঠিক মনের অধিকারী হতে হবে। যতই বিশুদ্ধ জীবনযাপন করবে, ততাই উপভোগ করতে পারবে জীবনকে। ৮। আমরা অনেকেই একটা কিছুর সন্ধানে পুরো জীবন কাটিয়ে দেই। কিন্তু তুমি যা চাও তা হয়তো এরইমধ্যে পেয়েছ। সুতরাং, এবার থামো। ৯। সুখের জন্ম হয় মনের গভীরে। এটি কখনও  বাইরের কোনো উৎস থেকে আসে না। ১০। অন্যের জন্য ভালো কিছু করতে পারাটাও তোমার জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। ১১। জীবনের খুব কম মানুষের জীবনে পরিপক্কতা আসে। সঙ্গী হিসেবে এই পরিপক্কতাকে তোমার অর্জন করতে হবে। তবে তা ভুল মানুষকে অনুসরণ করে নয়। এই পরিপক্কতা অর্জনে বরং একলা চলো নীতি অনুসরণ করো। ১২। করুণাই বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ শক্তি। ১৩। সুখ কখনও আবিষ্কার করা যায় না। এটি সবসময় তোমার কাছে আছে এবং থাকবে। তোমাকে কেবল দেখার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। ১৪। রেগে যাওয়া মানে নিজেকেই শাস্তি দেওয়া।  ১৫। সত্যিকারভাবে ক্ষমতা নিয়ে বাঁচতে হলে নির্ভয়ে বাঁচো। ১৬। জীবনে ব্যাথা থাকবেই, কিন্তু কষ্টকেই ভালোবাসতে শেখো। ১৭। অনেক মোমবাতি জ্বালাতে আমরা কেবল একটি মোমবাতিই ব্যবহার করি। এর জন্য ওই মোমবাতিটির আলো মোটেও কমে না। সুখের বিষয়টিও এমনই।  ১৮। যখন আমরা মনের রূপান্তর ঘটাই, আর চিন্তাগুলো বিশুদ্ধ করি, তখন আমরা অন্যায় কাজ থেকে জীবনকে পরিশুদ্ধ করি। এর মাধ্যমে খারাপ কাজের চিহ্নও মুঁছে যায়। ১৯। অন্যকে কখনও নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করো না, নিয়ন্ত্রণ করো কেবল নিজেকে। ২০। আলোকিত হতে চাইলে প্রথমে নিজের মনকে নিয়ন্ত্রণ করো। ২১। জ্ঞানগর্ভ জীবনের জন্য মুহূর্তের ইতিবাচক  ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিতে হবে। এই জন্য ভয়কে তুচ্ছ করতে হবে, এমনকি মৃত্যুকেও। ২২। এই তিনটি সর্বদা দেখা দেবেই: চাঁদ, সূর্য এবং সত্য। ২৩। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মুহূর্তের সমন্বয়ই জীবন। কেবল একটি সঠিক মুহূর্ত পাল্টে দেয় একটি দিন। একটি সঠিক দিন পাল্টে দেয় একটি জীবন। আর একটি জীবন পাল্টে দেয় গোটা বিশ্ব। ২৪। নিজের কথার মূল্য দিতে হবে নিজেকেই। কেননা, তোমার নিজের কথার ওপর নির্ভর করবে অন্যের ভালো কাজ কিংবা মন্দ কাজ। ২৫। ঘৃণায় কখনও ঘৃণা দূর হয় না। অন্ধকারে আলো আনতে তোমাকে কোনো কিছুতে আগুন জ্বালতেই  হবে। ২৬। শুভর সূচনা করতে প্রত্যেক নতুন সকালই তোমার জন্য এক একটি সুযোগ। ২৭। আমরা প্রত্যেকেই একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কিত। একজন আরেকজনের পরিপূরক। অর্থাৎ সমাজে আমরা কেউ একা নই। ২৮। খারাপটি সর্বদা তুমি নিজেই পছন্দ করছো। সুতরাং, তোমার খারাপ কাজের জন্য তুমি নিজেই দায়ী। এর দায়ভার অন্য কারো নয়। ২৯। তোমার চিন্তাই তোমার শক্তির উৎস। নেতিবাচক চিন্তা তোমাকে অনেক বেশি আঘাত করে যা তোমার ধারণায় নেই। ৩০। নির্বোধ বন্ধু আদৌ কোনো বন্ধু নয়। নির্বোধ বন্ধু থাকার চেয়ে একা হওয়া অনেক ভালো। ৩১। তুমি মুখে কী বলছো সেটি কোনো বিষয় নয়, বিষয় হলো তোমার কাজ। 

পদত্যাগ করবেন না প্লিজ: ড. ইউনূসের প্রতি আবেদন মাহফুজ আনাম শনিবার মে ২৪, ২০২৫ ১২:২৫ পূর্বাহ্ন সর্বশেষ আপডেট: শনিবার মে ২৪, ২০২৫ ১২:৩৪ পূর্বাহ্ন • ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত দেশপ্রেমিক হৃদয়ের প্রতিটি স্পন্দন, জাতি গঠনের সবটুকু অনুপ্রেরণা, সাধারণ বিবেচনাবোধ ও যুক্তিনির্ভর চিন্তা থেকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আন্তরিক ও বিনীতভাবে অনুরোধ করছি—এই ক্রান্তিলগ্নে অনুগ্রহ করে দেশের নেতৃত্বের হাল ছাড়বেন না। ড. ইউনূসের মনে হয়তো অসংখ্য হতাশা জমে আছে। কিন্তু সরকারপ্রধান হিসেবে সব ধরনের আবেগ, বিবেচনা ও সিদ্ধান্তের ঊর্ধ্বে থাকবে তার দায়িত্ববোধ। আমরা জানি এবং বিশ্বাস করি তিনি বাংলাদেশকে ভালোবাসেন। সেক্ষেত্রে তার জন্য পদত্যাগ কোনো বিকল্প নয়, বরং নেতৃত্ব দিয়ে যাওয়াই একমাত্র পথ। পরবর্তী নির্বাচন পর্যন্ত দেশকে দৃঢ়, কার্যকর ও সুচিন্তিতভাবে নেতৃত্ব দেওয়াই তার একমাত্র দায়িত্ব এবং পুরো জাতি এর জন্য তার প্রতি চিরকৃতজ্ঞ থাকবে। তাকে অবশ্যই এক্ষেত্রে অটল থাকতে হবে এবং আমরা গণমাধ্যম হিসেবে আমাদের নৈতিকতার ভিত্তিতে তার পাশে থাকব। তবে নীতি-নৈতিকতা বিবেচনায় স্বাধীন গণমাধ্যমকে ভিন্নমত, বিকল্প ভাবনা ও বিশ্লেষণ তুলে ধরতে হয়, যেখানে অপ্রিয় সত্যও থাকবে। ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনে ড. ইউনূসের অবদানকে বিশ্ব কেবল স্বীকৃতি দেয়নি, অনুসরণও করেছে। ঋণকে তিনি কেবল 'অধিকার' হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেননি, বরং প্রতিটি মানুষের মাঝে উদ্যোক্তা হওয়ার মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীলতার আকাঙ্ক্ষা জাগিয়ে তুলেছেন। সামাজিক ব্যবসার মাধ্যমে বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার মূল আকাঙ্ক্ষা ও 'তিন শূন্যে'র পৃথিবী গড়ার স্বপ্ন বিশ্ব দরবারে তাকে অনুকরণীয় ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছে। কিন্তু এসবের কোনোকিছুই কিংবা বিশ্বব্যাপী তার সম্মান, অগণিত পুরস্কার, সম্মানসূচক একাধিক 'ডক্টরেট' ডিগ্রি, অন্তহীন প্রশংসা কখনোই তাকে সরকার পরিচালনার জন্য প্রস্তুত করেনি। একটি সরকার পরিচালনা অত্যন্ত কঠিন কাজ। বাংলাদেশের মতো একটি দেশে তা আরও কঠিন। উপরন্তু যখন গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার পতনের পর শাসনব্যবস্থার প্রতিটি প্রতিষ্ঠান—সংসদ, বিচারব্যবস্থা, পুলিশ, আমলাতন্ত্র, গোয়েন্দা সংস্থা ইত্যাদি—ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়, সেই পরিস্থিতিতে সরকার চালানো প্রায় অসম্ভব। ঠিক এমন এক মুহূর্তে অধ্যাপক ইউনূস আমাদের শিক্ষার্থীদের আহ্বানে সাড়া দেন, যা প্রকৃতপক্ষে ছিল পুরো জাতিরই আহ্বান। তার আগমন ছিল অভূতপূর্ব, কারণ তখন দেশের মানুষ এক অন্ধকার গহ্বর থেকে মুক্তির দিশা খুঁজছিল। শিক্ষার্থীরা মুক্তির সেই পথ তৈরি করেছে, রাজনৈতিক কর্মীরা সেই পথে আলো ধরেছে, সাধারণ মানুষ হাতে হাত মিলিয়ে সামনে এগিয়ে এসেছে এবং জীবনও দিয়েছে। আর এসবের পরেই আমরা নতুন এক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছি। ঠিক সেই মুহূর্তেই অধ্যাপক ইউনূস আমাদের আশার প্রতীক হয়ে ওঠেন। তার আন্তর্জাতিক মর্যাদা ও ব্যক্তিগত গ্রহণযোগ্যতা বিবেচনায় তিনি আমাদের রক্ষাকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হন। কিন্তু এই কঠিন দায়িত্ব গ্রহণের সময়ই তার প্রয়োজন ছিল কিছু 'শর্ত' ঠিক করে নেওয়া। শুরুতেই তার বলে নেওয়া উচিত ছিল যে, তিনি 'নতুন প্রজন্মের' জন্য কাজ করবেন, কিন্তু তারা যেহেতু এখনো সব বিষয়ে পারদর্শী বা অভিজ্ঞ নন, তাই তাদেরকে তার (ড. ইউনূস) কথা শুনতে হবে। যদি তারা কথা না শোনে, তাহলে যাতে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। এই ধরনের একটা শর্ত দিয়ে তার ক্ষমতা নেওয়া উচিত ছিল। যখন তিনি সরকার পরিচালনার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়ে রাজনীতির ঘোলাটে পরিবেশে পা রাখলেন, তখন তিনি বাস্তব জগত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লেন এবং যাদের তিনি 'নিয়োগকর্তা' হিসেবে অভিহিত করেন, তাদের দ্বারা পুরোপুরি প্রভাবিত হয়ে পড়লেন। ইউনূস সরকারের কার্যক্রম নিয়ে চূড়ান্তভাবে কোনো মন্তব্য করার সঠিক সময় এখনো না এলেও এটুকু বলা যায় যে, 'অন্তর্বর্তীকালীন' সরকার মানেই যেহেতু অস্থায়ী সরকার, তার জন্য ১০ মাস মোটেই কম সময় নয়। এই কাজের জন্য তিনি অনভিজ্ঞদের নিয়ে (যদিও সবাই নয়) একটি টিম গঠন করেছেন। কিন্তু অধিনায়ক হিসেবে তিনি দক্ষতার সঙ্গে সেই টিম পরিচালনা করতে পারেননি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, তার কয়েকজন উপদেষ্টা ক্ষমতার প্রতি এতটাই অভ্যস্ত হয়ে উঠেছিলেন যে, তারা তাদের মূল দায়িত্ব পালনের চেয়ে সরকারের মেয়াদ বাড়ানোর দিকেই মনোযোগী হয়ে পড়েন। 'সংস্কার' ও 'নির্বাচন'র মধ্যে একটি অপ্রয়োজনীয় বিভাজন তৈরি করা হয়েছিল, যেখানে আমরা বারবার বলেছি যে, ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই দুটোই করা সম্ভব। বড় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, নিম্ন ও উচ্চকক্ষ বিশিষ্ট দ্বিকক্ষীয় সংসদ, প্রধানমন্ত্রীর ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার পুনর্বিন্যাস এবং পরপর দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী না থাকাসহ বেশকিছু বিষয়ে ঐকমত্য এসেছে। এগুলো কোনো ছোটখাট সংস্কার নয়। এগুলোর সঙ্গে আরও কিছু যুক্ত করে একটি চমৎকার জুলাই সনদ তৈরি করা যেতে পারে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, সবচেয়ে বড় দল বিএনপি ও অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে, তা আর বাড়তে দেওয়া উচিত নয়। আমরা বিশ্বাস করি, অধ্যাপক ইউনূস জুনের মধ্যেই নির্বাচন সম্পন্ন করার প্রতিশ্রুতিতে অটল আছেন। তার ও বিএনপি নেতৃত্বের মধ্যে একটি আলোচনা উভয় পক্ষের মধ্যকার দূরত্ব ঘুচিয়ে দিতে পারে। এই ব্যবধান আরও বাড়লে তা কোনো পক্ষের জন্যই মঙ্গলজনক হবে না। কারণ যারা ঐক্য বিনষ্ট করতে চায়, এর মাধ্যমে তারা সুযোগ নিতে পারে। চলমান পরিস্থিতিতে কিছু পদক্ষেপ জরুরিভাবে বিবেচনায় নেওয়া যেতে পারে: —প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা। কয়েক মাস আগে বলা হয়েছিল ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে নির্বাচন। এখন বিষয়টি আরও সুনির্দিষ্ট করা প্রয়োজন। —উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল ও পুনর্গঠন করা, যাতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে নির্দিষ্ট কিছু লক্ষ্য পূরণ করা যায়। —তিন বাহিনীর প্রধানদের ডেকে বর্তমান দূরত্ব কমানো। জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে সশস্ত্র বাহিনীকে সম্পৃক্ত না করার বিষয়ে সেনাপ্রধানের অভিযোগের বিষয়টি প্রধান উপদেষ্টা গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে মীমাংসা করতে পারেন। কারণ আমাদের সেনাবাহিনীও গণতান্ত্রিক রূপান্তরে সম্পূর্ণভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই আবেদন জানিয়ে শেষ করছি যে, এমন ক্রান্তিলগ্নে অধ্যাপক ইউনূস দেশ ও জাতির নেতৃত্বের হাল ছাড়বেন না। তাকেই নির্বাচন আয়োজন করে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের পথরেখা তৈরি করতে হবে। হয়তোবা আমরা গণমাধ্যম ও দেশের জনগণ ড. ইউনূসের গত ১০ মাসের অর্জনের মর্ম পুরোপুরি উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হয়েছি। কিন্তু একইভাবে তারও স্বীকার করা উচিত যে এই সময়ে সরকারও কিছু গুরুতর ভুল করেছে। তাকে স্বীকার করতে হবে যে বিগত মাসগুলোতে বাংলাদেশ ক্রমেই এমন এক রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে, যেখানে আইনশৃঙ্খলা নেই বললেই চলে; সড়কে প্রতিনিয়ত বিক্ষোভ ও যান চলাচল বাধাগ্রস্ত করাই দাবি আদায়ের একমাত্র পথ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ব্যবসায়ীরা এখনো আত্মবিশ্বাস সংকটে ভুগছে। এক 'মনোমুগ্ধকর প্রেজেন্টেশনে'র পরেও প্রকৃতপক্ষে দেশে উল্লেখযোগ্য কোনো বিনিয়োগ আসেনি। অধ্যাপক ইউনূসকে এখন এই সত্যের মুখোমুখি হতে হবে। এটি তার গৌরবময় জীবনের অন্যান্য যেকোনো অভিজ্ঞতা থেকে ভিন্ন। আমরা তাকে অনুরোধ করছি এটা বিবেচনায় নিতে যে, এখন পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক দল তার পদত্যাগ দাবি করেনি। তবে শুধু কিছু শিক্ষার্থী—যাদের তিনি সর্বাত্মক সমর্থন দিয়েছেন—তারাই তাকে এই কথা বলার সাহস দেখিয়েছে যে, 'মনে রাখবেন, আপনাকে আমরা ক্ষমতায় এনেছি, আমরা সরিয়েও দিতে পারি।' আমরা এখনো ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ওপর আস্থা রাখি, তাকে বিশ্বাস করি, ভরসা করি। কিন্তু অধ্যাপক ইউনূসকেও বুঝতে হবে, সব কিছু তার প্রত্যাশামতো এগোয়নি এবং সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে হলে তাকে নিজের টিম পুনর্গঠন করতে হবে এবং এখন পর্যন্ত যেসব পদ্ধতি তিনি অনুসরণ করেছেন, তা পুনর্বিবেচনা করতে হবে। প্রতিটি সরকার প্রধানকেই এটি করতে হয়। এটা অস্বাভাবিক কিছু নয় এবং এটাকে ব্যক্তিগতভাবে নেওয়া একেবারেই উচিত নয়। •

চকরিয়া থানা পুলিশের অভিযানে নিয়মিত মামলায় দুইজন ও পুরাতন মামলায় দুইজন পলাতক আসামী গ্রেফতার চকরিয়া থানা পুলিশের মিডিয়া শাখা থেকে প্রেরিত প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, জনাব মোঃ সাইফউদ্দীন শাহীন, পুলিশ সুপার, কক্সবাজার মহোদয়ের নির্দেশক্রমে জনাব অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ক্রাইম এন্ড অপস্ মহোদয়ের সার্বিক পরিকল্পনায় কক্সবাজার জেলার সকল ওয়ারেন্ট তামিল  মামলার আসামী গ্রেফতারের বিশেষ অভিযান পরিচালনার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তার-ই প্রেক্ষিতে অদ্য ২৪/০৫/২০২৫ খ্রিঃ: জনাব মোঃ শফিকুল ইসলাম অফিসার ইনচার্জ, চকরিয়া  থানা মহোদয়ের এর তত্ত্বাবধানে, এসআই/নিঃ ফরহাদ রাব্বি ইষান, এএসআই/নিঃ  আনোয়ার হোসেন, এএসআই/নিঃ পারভেজ মাহামুদ  সঙ্গীয় ফোর্স সহ চকরিয়া থানার  এফআইআর নং-৫৫, তারিখ- ২৪ মে, ২০২৫; জি আর নং-২৫৯, তারিখ- ২৪ মে, ২০২৫; ধারা- ৩৬(১) সারণির ২৪(খ)/৩৮ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ এর আসামী-১। আব্দু শুক্কুর (৪৮), পিতা-মৃত সোলেমান,মাতা-নামিয়া খাতুন, সাং-সিকদার পাড়া, গোবিন্দপুর ৯নং ওয়ার্ড, ২। নুরুল আমিন (৩৫), পিতা-মৃত আমির হোসেন, মাতা-হাফেজা খাতুন, সাং-সর্দারপাড়া, গোবিন্দপুর ৯নং ওয়ার্ড, ইউপি-বরইতলী,থানা-চকরিয়া, জেলা-কক্সবাজার, চকরিয়া থানার এফআইআর নং-১৫, তারিখ-১৩ নভেম্বর, ২০২৪; জিআর নং-৪৫৬, ধারা--15 (3) The Special Powers Act, 1974 এর আসামী-৩। নুর মোহাম্মদ (৬০), পিতা-মৃত সোলতান আহম্মদ, মাতা-মৃত ফিরোজা বেগম, সাং-হাজিয়ান, ০১নং ওয়ার্ড, ফাঁসিয়াখালী ইউপি, থানা-চকরিয়া, জেলা-কক্সবাজার, চকরিয়া থানার ,এফআইআর নং-৫১, তারিখ- ২২ মে, ২০২৫; জি আর নং-২৫৫, ধারা- 114/143/447/323/325/307/354/379/506/34 The Penal Code, 1860 এর আসামী-৪। আবদুল মোনাফ (৫৭), পিতা-মৃত গোলাম কাদের , সাং- আনিছ পাড়া, ৬নং ওয়ার্ড, ইউনিয়ন- পূর্ব বড় ভেওলা, থানা- চকরিয়া, জেলা –কক্সবাজারদের গ্রেফতার করা হয়।পরবর্তীতে উক্ত আসামীদেরকে বিধি মোতাবেক বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়।

বিএনপির সঙ্গে শনিবার সন্ধ্যায় বৈঠকে বসছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বৈঠকে অংশ নিতে বিএনপি স্থায়ী কমিটি সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল গুলশান চেয়ারপারসনের অফিস থেকে রওনা দিয়েছে। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান যুগান্তরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। চার সদস্যের প্রতিনিধি দলে রয়েছেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আব্দুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমদ। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ‘যমুনা’য় দ্বিপাক্ষিক এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর চিকিৎসার জন্য বর্তমানে থাইল্যান্ডে রয়েছেন। যে কারণে দলের স্থায়ী কমিটির জ্যেষ্ঠ সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এ বৈঠকে প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, আমাদেরকে জানানো হয়েছে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সাক্ষাতের সময়।

নোয়াখালীর আল আমিন ‘আলী’ চলচ্চিত্র নিয়ে কান উৎসবে বিশ্ব চলচ্চিত্রের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ আসর, ৭৮তম কান চলচ্চিত্র উৎসব-এ অংশ নিতে ফ্রান্সে পা রেখেছেন বাংলাদেশের উদীয়মান অভিনেতা আল আমিন। নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার এই তরুণ শিল্পী অভিনয় করেছেন নির্মাতা আদনান আল রাজীব পরিচালিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘আলী’-এর প্রধান চরিত্রে। অসাধারণ অভিনয় ও অনবদ্য নির্মাণশৈলীর কারণে এই সিনেমাটি স্থান করে নিয়েছে কান উৎসবের ‘শর্ট ফিল্ম’ অফিসিয়াল সিলেকশন-এ। আল আমিনের এই সাফল্য শুধু তার ব্যক্তিগত অর্জন নয়, বরং বাংলাদেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনের জন্যও এক গর্বের বিষয়। এই আলামিন সেই আলামিন ড্যানিশ ইয়াং স্টার-এ ডুয়েল ভয়েচে গান গেয়ে মাতিয়েছিলেন পুরো বাংলাদেশ।

সারাদেশে একই দামে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫ গ্রাহক পর্যায়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের দাম কমালো সরকার। নতুন ট্যারিফ অনুযায়ী, সর্বোচ্চ কনটেনশন রেশিও ১:৮ ভিত্তিতে ৫ এমবিপিএস ইন্টারনেট সেবার মাসিক মূল্য হবে সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা, ১০ এমবিপিএস ৭০০ টাকা এবং ২০ এমবিপিএস ১ হাজার ১০০ টাকা। এ হার মহানগর, জেলা, উপজেলা এবং ইউনিয়ন— সবস্তরে সমানভাবে প্রযোজ্য হবে। এক দেশ, এক রেট’ ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারদের (আইএসপি) জন্য নতুন ট্যারিফ ঘোষণা করা হয়েছে। এখন থেকে সারাদেশের গ্রাহকরা মাত্র ৪০০ টাকায় পাবেন ৫ এমবিপিএস ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট। আগে সমমূল্যের এ ইন্টারনেটের দাম ছিল ৫০০ টাকা। বৃহস্পতিবার (২২ মে) সরকারি ও বেসরকারি সব ধরনের ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের (আইএসপি) জন্য একক ট্যারিফ নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি বলছে, এ ট্যারিফ আগামী ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে এবং প্রাথমিকভাবে ৫ বছরের জন্য বলবৎ থাকবে। পরবর্তী সময়ে বিটিআরসি নতুন ট্যারিফ ঘোষণা না করা পর্যন্ত এটি বলবৎ থাকবে। আইএসপিগুলোকে বিটিআরসির অনুমোদিত এ ট্যারিফ ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। কোনো প্রতিষ্ঠান অনুমোদন ছাড়া অতিরিক্ত বা ভিন্ন ধরনের সেবা চালু করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া রাখা হয়েছে সেবার মান ও জরিমানার নিয়মও। বিটিআরসি গ্রাহক সন্তুষ্টি ও সেবার মান রক্ষায় চালু করেছে ‘গ্রেড অব সার্ভিস’ ব্যবস্থা। এর আওতায় যদি কোনো গ্রাহকের ইন্টারনেট সেবা টানা ৫ দিন বিচ্ছিন্ন থাকে, তাহলে সে মাসে বিলের ৫০ শতাংশ ছাড় পাবে। ১০ দিন বিচ্ছিন্ন থাকলে ২৫ শতাংশ এবং ১৫ দিন বা তার বেশি সময় সংযোগ না থাকলে পুরো মাসের বিল মওকুফ করতে হবে সংশ্লিষ্ট আইএসপি প্রতিষ্ঠানকে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ উদ্যোগের ফলে দেশের সব জায়গায় গ্রাহকরা সাশ্রয়ী, মানসম্মত এবং একক মূল্যে ইন্টারনেট সেবা পাবেন। একই সঙ্গে আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলোও নির্দিষ্ট মান ও শর্ত মেনে সেবা দিতে বাধ্য হবে। এদিকে, আইএসপিএবির নেতারা বলছে, সরকার নতুন যে ট্যারিফ নির্ধারণ করেছে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাদাতারা ক্ষেত্র বিশেষে এরচেয়ে কম দামে ইন্টারনেট সেবা দিয়ে আসছে। একই সঙ্গে সরকার ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ের (আইআইজি) জন্যও নতুন ট্যারিফ নির্ধারণ করেছে।

রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকাই যেন আমাদের কাজ হয়ে গেছে’ ২১ মে ২০২৫, ০২:৩৯ পিএম জনপ্রিয় মডেল অভিনেত্রী পিয়া জান্নাতুল। তিনি ২০০৭ সালে মিস বাংলাদেশ খেতাব অর্জন করেন। ‘চোরাবালি’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে তার অভিষেক ঘটে। অভিনয় জগতে পদার্পণের পূর্বে তিনি মডেল হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন।  এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পিয়া জান্নাতুল বেশ সক্রিয় রয়েছেন। এবার ঢাকার ভয়ংকর ট্যফিক নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি পোস্ট দিয়ে লিখেছেন, ‘ঢাকায় সবসময়ই ভয়ংকর ট্রাফিক থাকে। একটা জায়গা থেকে আরেকটা জায়গায় যাওয়ার জন্য অনেকবার ভাবতে হয়, কারণ রাস্তায় এত জ্যাম যে সময়ের হিসেব রাখা যায় না। কিন্তু এখন তো পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ! নানা আন্দোলনের কারণে বেশিরভাগ রাস্তাই বন্ধ।’ তার কথায়, ‘আমার র‍্যাম্প এখন যেন পুরো ঢাকা শহরের রাস্তাঘাট! রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকাই যেন আমাদের কাজ হয়ে গেছে। গাড়িতে বসে থাকতে থাকতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে যাচ্ছে। আগে তো বাসা থেকে গাড়ি নিয়ে বের হতাম।’ ‘এখন একটা জায়গায় পৌঁছাতে গেলে প্রথমে গাড়িতে উঠি, তারপর হেঁটে চলি, এরপর রিকশায় উঠি, তারপর আবার কোথাও বাইক নেই, আর শেষমেশ আবার হাঁটি।’ শেষে লিখেছেন, ‘ঠিকমতো কোথাও পৌঁছানোই যাচ্ছে না, কাজ করবো কীভাবে? কাজের থেকে এখন বড় সংগ্রাম একটা জায়গায় পৌঁছানো! কাজের আগে এত স্ট্রাগল করে যখন পৌঁছাই, তখন কাজটা মন দিয়ে করাটাই কঠিন হয়ে পড়ে।’

সীমান্তের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, রাখাইনের বেশির ভাগ এলাকা বেশ কয়েক মাস ধরে আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে থাকলেও মংডু টাউনশিপের কিছু অংশের নিয়ন্ত্রণ ছিল সরকারি বাহিনীর হাতে। সর্বশেষ সেটিও নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে আরাকান আর্মি। তবে এরপর মংডু টাউনশিপে সে দেশের সরকার কারফিউ জারি করেছে। আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যানিটির সভাপতি মোহাম্মদ জোবায়ের প্রথম আলোকে বলেন, রাখাইনে অশান্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সেখানে থাকা তাঁদের স্বজনেরা মুঠোফোনে জানিয়েছেন, তাঁরা ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। জানতে চাইলে টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর সৈয়দ ইশতিয়াক মুর্শেদ বলেন, সীমান্তে চোরাচালান, অবৈধ অনুপ্রবেশসহ সব ধরনের অপরাধ দমনে পেশাদারত্বের সঙ্গে বিজিবির সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছেন। সীমান্তের যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।

আজ ২১ মে, বিশ্ব চা দিবস। চা প্রেমীদের দিন এটি। চাইলে দিনটি উদযাপনে একত্রিত হতে পারেন, কিংবা মেতে উঠতে পারেন চা আড্ডায়। সকালে ঘুম থেকে উঠে কিংবা অফিসের ক্লান্তিতে আমাদের ভরসা এক কাপ চা। জেনে অবাক হবেন, চা বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ মানুষের সবচেয়ে প্রিয় পানীয়। গবেষণা তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে প্রতি সেকেন্ডে মানুষ ২৫ হাজার কাপ চা পান করে। অর্থাৎ প্রতিদিন দুই বিলিয়ন কাপেরও বেশি চা পান করা হয়। ২০০৫ সালে প্রথম চা উৎপাদনকারী দেশগুলো এক হয়ে আন্তর্জাতিক চা দিবস পালন করে। এই দেশগুলো হলো- শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ইন্দোনেশিয়া, কেনিয়া, মালয়েশিয়া ও উগান্ডা। পরে ২০১৯ সালের ২১ মে বিশ্ব চা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে ২০১৯ সালের ২১ ডিসেম্বর জাতিসংঘ চা দিবসকে অনুমোদন দেয়। এরপর ২০২০ সালের ২১ মে জাতিসংঘ প্রথমবার আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ব চা দিবস পালন করে। ধারণা করা হয়, বিশ্বের জনসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চা পানকারীদের সংখ্যাও বাড়বে। ভারত ও চীনে চায়ের ব্যাপক জনপ্রিয়তা আছে। চা পানে এই দুটি দেশ বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৩৭ শতাংশ অবদান রাখে। চা মূলত চীন থেকে এসেছে। গরম চায়ের আছে একটি দীর্ঘ ইতিহাস। যা প্রায় ৫ হাজার বছর আগের। চা নিয়ে একটি গল্প প্রচলিত আছে- একজন চীনা সম্রাট গরম পানির কাপ নিয়ে একটি গাছের নীচে বসেছিলেন। তখন কিছু কিছু শুকনো পাতা ওই কাপে এসে পড়ে। পরে সম্রাট সেই পানীয় পান করে মুগ্ধ হন। এভাবে গরম চায়ের সঙ্গে মানুষের বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। যদিও এই গল্প কতটা সত্যি তা বলা মুশকিল। কিন্তু, এটাতো সত্যি কথা যে- শত শত বছর ধরে মানুষ গরম চা পান করে আসছেন। বছরের পর বছর ধরে চা নিয়ে নানান গবেষণা হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে গরম পানির সঙ্গে গুল্ম ও পাতা মিশিয়ে পান করা হয়েছে। কিন্তু চায়ের সবচেয়ে আধুনিক সংস্করণ গরম পানির সঙ্গে কয়েক টুকরো চা পাতার মিশিয়ে পান করা। এই পাতা ক্যামেলিয়া সাইনেনসিস উদ্ভিদ থেকে পাওয়া যায়। এশিয়ায় গরম চা পান শুরু হয় খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীতে। আর ষোড়শ শতাব্দীর আগে ইউরোপে চা প্রবেশ করতে পারেনি। ১৬০০-এর দশকে ইংল্যান্ডের মানুষ এই সুস্বাদু পানীয়টির প্রেমে পড়তে শুরু করেন এবং এটি আধুনিক শ্রেণির জনপ্রিয় পানীয় হয়ে উঠতে শুরু করে। ব্রিটিশ ভারতে চায়ের উৎপাদন প্রবর্তিত হয়। শুধু তাই নয় তখন বিশ্বব্যাপী এটি একটি শিল্প হয়ে ওঠে।

জাতীয় কক্সবাজারে ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিল আমেরিকান সেনা ও বিমানবাহিনী স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার প্রকাশিত: বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ২৩ মিনিট আগে কক্সবাজারে ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিল আমেরিকান সেনা ও বিমানবাহিনী কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে আমেরিকান সেনা ও বিমানবাহিনী। ১৮ মে থেকে শুরু হওয়া এ প্রশিক্ষণ শেষ হয় ২১ মে বুধবার। কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক মো. তানহারুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস ও ঘূর্ণিঝড় কবলিত ভিকটিমদের উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের ৪ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। এই প্রশিক্ষণে অংশ নেয় কক্সবাজারের ১৫ জন কর্মকর্তা ও অগ্নিনির্বাপণকারী কর্মী। বুধবার (২১ মে) সকালে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের প্যারাসেলিং পয়েন্টে এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। তানহারুল ইসলাম বলেন, ‘আমেরিকান অ্যাম্বাসির সহযোগিতায় আমেরিকান সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনী বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের এই প্রশিক্ষণ দেয়। সর্বশেষ আজ প্রশিক্ষণ প্রাপ্তদের মাঝে সনদ বিতরণ করে প্রশিক্ষকরা।’ এতে বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের কবলে আটকে থাকা ব্যক্তিদের উদ্ধার, পানিতে ভেসে যাওয়া থেকে উদ্ধারসহ নানান বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। " ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এ প্রশিক্ষণ দেয়া হয়"- বলেন তানহারুল ইসলাম। এদিকে প্রশিক্ষণের বেশ কিছু ছবি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। যা নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করতে দেখা গেছে নেটিজেনদের। এবিষয়ে তানহারুল ইসলাম বলেন, "তেমন কিছু নয়। আমরা শুধু প্রশিক্ষণ নিয়েছি। প্রশিক্ষণ শেষ তারা আজই চলে যাবেন"।

জাতীয় কক্সবাজারে ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিল আমেরিকান সেনা ও বিমানবাহিনী স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার প্রকাশিত: বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ২৩ মিনিট আগে কক্সবাজারে ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিল আমেরিকান সেনা ও বিমানবাহিনী কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে আমেরিকান সেনা ও বিমানবাহিনী। ১৮ মে থেকে শুরু হওয়া এ প্রশিক্ষণ শেষ হয় ২১ মে বুধবার। কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক মো. তানহারুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস ও ঘূর্ণিঝড় কবলিত ভিকটিমদের উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের ৪ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। এই প্রশিক্ষণে অংশ নেয় কক্সবাজারের ১৫ জন কর্মকর্তা ও অগ্নিনির্বাপণকারী কর্মী। বুধবার (২১ মে) সকালে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের প্যারাসেলিং পয়েন্টে এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। তানহারুল ইসলাম বলেন, ‘আমেরিকান অ্যাম্বাসির সহযোগিতায় আমেরিকান সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনী বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের এই প্রশিক্ষণ দেয়। সর্বশেষ আজ প্রশিক্ষণ প্রাপ্তদের মাঝে সনদ বিতরণ করে প্রশিক্ষকরা।’ এতে বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের কবলে আটকে থাকা ব্যক্তিদের উদ্ধার, পানিতে ভেসে যাওয়া থেকে উদ্ধারসহ নানান বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। " ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এ প্রশিক্ষণ দেয়া হয়"- বলেন তানহারুল ইসলাম। এদিকে প্রশিক্ষণের বেশ কিছু ছবি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। যা নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করতে দেখা গেছে নেটিজেনদের। এবিষয়ে তানহারুল ইসলাম বলেন, "তেমন কিছু নয়। আমরা শুধু প্রশিক্ষণ নিয়েছি। প্রশিক্ষণ শেষ তারা আজই চলে যাবেন"।

জাতীয় কক্সবাজারে ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিল আমেরিকান সেনা ও বিমানবাহিনী স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার প্রকাশিত: বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ২৩ মিনিট আগে কক্সবাজারে ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিল আমেরিকান সেনা ও বিমানবাহিনী কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে আমেরিকান সেনা ও বিমানবাহিনী। ১৮ মে থেকে শুরু হওয়া এ প্রশিক্ষণ শেষ হয় ২১ মে বুধবার। কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক মো. তানহারুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস ও ঘূর্ণিঝড় কবলিত ভিকটিমদের উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের ৪ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। এই প্রশিক্ষণে অংশ নেয় কক্সবাজারের ১৫ জন কর্মকর্তা ও অগ্নিনির্বাপণকারী কর্মী। বুধবার (২১ মে) সকালে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের প্যারাসেলিং পয়েন্টে এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। তানহারুল ইসলাম বলেন, ‘আমেরিকান অ্যাম্বাসির সহযোগিতায় আমেরিকান সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনী বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের এই প্রশিক্ষণ দেয়। সর্বশেষ আজ প্রশিক্ষণ প্রাপ্তদের মাঝে সনদ বিতরণ করে প্রশিক্ষকরা।’ এতে বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের কবলে আটকে থাকা ব্যক্তিদের উদ্ধার, পানিতে ভেসে যাওয়া থেকে উদ্ধারসহ নানান বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। " ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এ প্রশিক্ষণ দেয়া হয়"- বলেন তানহারুল ইসলাম। এদিকে প্রশিক্ষণের বেশ কিছু ছবি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। যা নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করতে দেখা গেছে নেটিজেনদের। এবিষয়ে তানহারুল ইসলাম বলেন, "তেমন কিছু নয়। আমরা শুধু প্রশিক্ষণ নিয়েছি। প্রশিক্ষণ শেষ তারা আজই চলে যাবেন"।

স্টারলিংকের সংযোগ নিতে এককালীন খরচ হবে ৪৭ হাজার টাকা  এম টিভি চ্যানেল  প্রকাশিত : ১০:২৫, ২০ মে ২০২৫ বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের মালিকানাধীন স্যাটেলাইট ভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক। উচ্চগতির ও নিরবিচ্ছিন্ন এই সংযোগ পেতে সেটাপ যন্ত্রপাতির জন্য গ্রাহককে এককালীন ৪৭ হাজার টাকা খরচ করতে হবে বলে জানা গেছে।  মঙ্গলবার (২০ মে) সকালে নিজের ফেসবুক আইডিতে দেয়া এক পোস্টে এই তথ্য জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি লিখেছেন, শুরুতে স্টারলিংক দুটি প্যাকেজ দিয়ে শুরু করছে- স্টারলিংক রেসিডেন্স এবং রেসিডেন্স লাইট। মাসিক খরচ একটিতে ৬০০০ টাকা, অপরটিতে ৪২০০। তবে সেটাপ যন্ত্রপাতির জন্য ৪৭ হাজার টাকা এককালীন খরচ হবে। এখানে কোন স্পিড ও ডাটা লিমিট নেই। ব্যক্তি ৩০০ এম্বিপিএস পর্যন্ত গতির আনলিমিটেড ডেটা ব্যবহার করতে পারবেন।  আরও পড়ুন: বাংলাদেশে স্টারলিংকের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানান, বাংলাদেশের গ্রাহকরা আজ থেকেই অর্ডার করতে পারবেন। এর মাধ্যমে ৯০ দিনের মধ্যে যাত্রা শুরুতে স্যারের (প্রধান উপদেষ্টা) প্রত্যাশাটি বাস্তবায়িত হলো। তিনি বলেন, খরুচে হলেও এর মাধ্যমে প্রিমিয়াম গ্রাহকদের জন্য উচ্চমান এবং উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা প্রাপ্তির টেকসই বিকল্প তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি যেসব এলাকায় এখনো ফাইবার কিংবা দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা পৌঁছেনি, সেখানে কোম্পানিগুলো ব্যবসা সম্প্রসারণ এর সুযোগ পাবেন, এনজিও ফ্রিল্যান্সার এবং উদ্যোক্তারা বছরব্যাপী নিরবিচ্ছিন্ন উচ্চগতির ইন্টারনেটের নিশ্চয়তা পাবেন। 

গায়ক মাঈনুল আহসান নোবেলকে আদালত থেকে হাজতখানায় নেওয়া হচ্ছে। ঢাকা, ২০ মেছবি: আসাদুজ্জামান গায়ক মাঈনুল আহসান নোবেল আদালতের কাছে দাবি করেছেন, যে নারী ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন, তিনি তাঁর স্ত্রী। তিনি ধর্ষণ করেননি।   ওই নারীকে স্ত্রী হিসেবে দাবি করলেও আদালতে কাবিননামা জমা দিতে পারেননি নোবেলের আইনজীবী জসীম উদ্দিন। ওই নারীকে সাত মাস ধরে একটি বাসায় আটকে রেখে ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছে নোবেলের বিরুদ্ধে। নোবেলকে গ্রেপ্তারের পর আজ বিকেলে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডেমরা থানার পরিদর্শক (তদন্ত)  মো. মুরাদ হোসেন আজ মঙ্গলবার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ‘কণ্ঠশিল্পী নোবেল ওই নারীকে বিয়ে করেছেন, এমন কোনো কাগজপত্র আমাদের কাছে জমা দিতে পারেননি। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, যাত্রাবাড়ীর কোনো একটি বাসায় ওই নারীর সঙ্গে নোবেলের মৌখিকভাবে বিয়ে পড়ানোর একটি ঘটনা রয়েছে; কিন্তু বিয়ের কোনো রেজিস্ট্রি কাবিননামা নেই।’ ডেমরা থানার পুলিশ আদালতকে লিখিতভাবে জানিয়েছে, সাত বছর আগ (২০১৮) ফেসবুকে নোবেলের সঙ্গে ওই নারীর পরিচয় হয়। তিনি মোহাম্মদপুরের একটি ভাড়া বাসায় থেকে রাজধানীর একটি কলেজে স্নাতক (সম্মান) তৃতীয় বর্ষে পড়তেন। তাঁদের মধ্যে কথাবার্তা হতো। গত বছরের ১২ নভেম্বর ডেমরায় নোবেলের স্টুডিও দেখানোর জন্য ওই নারীকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। রাত আটটার দিকে তিনি (নারী) বাসা থেকে বেরিয়ে যেতে চাইলে তাঁর মুঠোফোন কেড়ে নেন নোবেল। পরে মুঠোফোনটি ভেঙে ফেলেন। এরপর তাঁকে ধর্ষণ করেন এবং ধর্ষণের সেই ভিডিও ধারণ করেন নোবেল। পরে ভয় দেখিয়ে সাত মাস ধরে ওই বাসায় তাঁকে আটকে রাখা হয়। পুলিশ আদালতকে আরও জানায়, ওই নারীকে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর তাঁর (নারী) বাবা-মা ঢাকায় আসেন। পরে ওই নারীকে নোবেলের বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মুরাদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ভুক্তভোগী নারী এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান–স্টপ ক্রাইসিস (ওসিসি) সেন্টারে ভর্তি আছেন। নোবেল কাঠগড়ায় বেলা তিনটার দিকে আদালতের কাঠগড়ায় নেওয়া হয় নোবেলকে। কাঠগড়ায় দাঁড়ানো নোবেলের ডান হাতে ছিল হাতকড়া। পরনে সাদা রঙের টি-শার্ট আর কালো রঙের প্যান্ট। পায়ে প্লাস্টিকের স্যান্ডেল। তাঁকে বিমর্ষ দেখাচ্ছিল। কাঠগড়ার পাশেই ছিলেন ১০ জন পুলিশ সদস্য। বেলা তিনটার পর কিছুক্ষণ পর এজলাসে আসেন বিচারক। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে একজন পুলিশ কর্মকর্তা মাঈনুল আহসান নোবেলের নাম ধরে ডাকেন। তখন নোবেল হাত উঁচু করেন। ওই পুলিশ কর্মকর্তা আদালতের উদ্দেশে বলেন, ‘মাননীয় আদালত, নোবেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও মারধরের অভিযোগে মামলা হয়েছে।’ তখন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী আদালতকে বলেন, ‘কণ্ঠশিল্পী নোবেলের বিরুদ্ধে একজন ভুক্তভোগী ধর্ষণের মামলা করেছেন। ওই ভুক্তভোগী নারীর সঙ্গে নোবেলের পরিচয় হয়েছিল ফেসবুকে। পরে ওই নারীকে গত বছরের ২৪ নভেম্বর ডেমরা একটি বাসায় ডেকে নেন নোবেল। পরে ওই নারীকে তিনি ধর্ষণ করেন।’ আরও পড়ুন ৭ মাস ধরে বাসায় আটকে ধর্ষণের অভিযোগ নোবেলের বিরুদ্ধে, ৯৯৯ নম্বরে কল পেয়ে নারীকে উদ্ধার: পুলিশ ৮ ঘণ্টা আগে ভুক্তভোগী নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করেন নোবেলের আইনজীবী মো. জসীম উদ্দিন। তিনি আদালতকে বলেন, ‘আমার মক্কেল নোবেল একজন জনপ্রিয় শিল্পী। আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে যিনি মামলা করেছেন, তিনি নোবেলের স্ত্রী। চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা তিনি।’ ফলো করুন গায়ক মাঈনুল আহসান নোবেলকে আদালত থেকে হাজতখানায় নেওয়া হচ্ছে। ঢাকা, ২০ মেছবি: আসাদুজ্জামান গায়ক মাঈনুল আহসান নোবেল আদালতের কাছে দাবি করেছেন, যে নারী ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন, তিনি তাঁর স্ত্রী। তিনি ধর্ষণ করেননি।   ওই নারীকে স্ত্রী হিসেবে দাবি করলেও আদালতে কাবিননামা জমা দিতে পারেননি নোবেলের আইনজীবী জসীম উদ্দিন। ওই নারীকে সাত মাস ধরে একটি বাসায় আটকে রেখে ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছে নোবেলের বিরুদ্ধে। নোবেলকে গ্রেপ্তারের পর আজ বিকেলে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডেমরা থানার পরিদর্শক (তদন্ত)  মো. মুরাদ হোসেন আজ মঙ্গলবার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ‘কণ্ঠশিল্পী নোবেল ওই নারীকে বিয়ে করেছেন, এমন কোনো কাগজপত্র আমাদের কাছে জমা দিতে পারেননি। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, যাত্রাবাড়ীর কোনো একটি বাসায় ওই নারীর সঙ্গে নোবেলের মৌখিকভাবে বিয়ে পড়ানোর একটি ঘটনা রয়েছে; কিন্তু বিয়ের কোনো রেজিস্ট্রি কাবিননামা নেই।’ ডেমরা থানার পুলিশ আদালতকে লিখিতভাবে জানিয়েছে, সাত বছর আগ (২০১৮) ফেসবুকে নোবেলের সঙ্গে ওই নারীর পরিচয় হয়। তিনি মোহাম্মদপুরের একটি ভাড়া বাসায় থেকে রাজধানীর একটি কলেজে স্নাতক (সম্মান) তৃতীয় বর্ষে পড়তেন। তাঁদের মধ্যে কথাবার্তা হতো। গত বছরের ১২ নভেম্বর ডেমরায় নোবেলের স্টুডিও দেখানোর জন্য ওই নারীকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। রাত আটটার দিকে তিনি (নারী) বাসা থেকে বেরিয়ে যেতে চাইলে তাঁর মুঠোফোন কেড়ে নেন নোবেল। পরে মুঠোফোনটি ভেঙে ফেলেন। এরপর তাঁকে ধর্ষণ করেন এবং ধর্ষণের সেই ভিডিও ধারণ করেন নোবেল। পরে ভয় দেখিয়ে সাত মাস ধরে ওই বাসায় তাঁকে আটকে রাখা হয়। পুলিশ আদালতকে আরও জানায়, ওই নারীকে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর তাঁর (নারী) বাবা-মা ঢাকায় আসেন। পরে ওই নারীকে নোবেলের বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মুরাদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ভুক্তভোগী নারী এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান–স্টপ ক্রাইসিস (ওসিসি) সেন্টারে ভর্তি আছেন। নোবেল কাঠগড়ায় বেলা তিনটার দিকে আদালতের কাঠগড়ায় নেওয়া হয় নোবেলকে। কাঠগড়ায় দাঁড়ানো নোবেলের ডান হাতে ছিল হাতকড়া। পরনে সাদা রঙের টি-শার্ট আর কালো রঙের প্যান্ট। পায়ে প্লাস্টিকের স্যান্ডেল। তাঁকে বিমর্ষ দেখাচ্ছিল। কাঠগড়ার পাশেই ছিলেন ১০ জন পুলিশ সদস্য। বেলা তিনটার পর কিছুক্ষণ পর এজলাসে আসেন বিচারক। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে একজন পুলিশ কর্মকর্তা মাঈনুল আহসান নোবেলের নাম ধরে ডাকেন। তখন নোবেল হাত উঁচু করেন। ওই পুলিশ কর্মকর্তা আদালতের উদ্দেশে বলেন, ‘মাননীয় আদালত, নোবেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও মারধরের অভিযোগে মামলা হয়েছে।’ তখন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী আদালতকে বলেন, ‘কণ্ঠশিল্পী নোবেলের বিরুদ্ধে একজন ভুক্তভোগী ধর্ষণের মামলা করেছেন। ওই ভুক্তভোগী নারীর সঙ্গে নোবেলের পরিচয় হয়েছিল ফেসবুকে। পরে ওই নারীকে গত বছরের ২৪ নভেম্বর ডেমরা একটি বাসায় ডেকে নেন নোবেল। পরে ওই নারীকে তিনি ধর্ষণ করেন।’ আরও পড়ুন ৭ মাস ধরে বাসায় আটকে ধর্ষণের অভিযোগ নোবেলের বিরুদ্ধে, ৯৯৯ নম্বরে কল পেয়ে নারীকে উদ্ধার: পুলিশ ৮ ঘণ্টা আগে ভুক্তভোগী নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করেন নোবেলের আইনজীবী মো. জসীম উদ্দিন। তিনি আদালতকে বলেন, ‘আমার মক্কেল নোবেল একজন জনপ্রিয় শিল্পী। আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে যিনি মামলা করেছেন, তিনি নোবেলের স্ত্রী। চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা তিনি।’ নোবেলের আইনজীবীর কাছ থেকে এই কথা শোনার পর আদালত ওই আইনজীবীর কাছে জানতে চান, আপনারা যে বলছেন, মামলার বাদী নোবেলের স্ত্রী। কিন্তু এর প্রমাণ কী। কাবিননামা এনেছেন? এ সময় পিপি ওমর ফারুক ফারুকী আদালতকে বলেন, মামলার বাদী যদি নোবেলের স্ত্রী হন, তাহলে কাবিননামা কোথায়? কাবিননামাই তো বিয়ের একমাত্র প্রমাণ। কাবিননামা জমা না দিয়ে মামলার বাদীকে স্ত্রী দাবি করা ঠিক নয়। মূলত নোবেল ওই নারীকে ব্ল্যাকমেল করে দিনের পর দিন ধর্ষণ করেছেন। আরও পড়ুন ধর্ষণের ভিডিও মুঠোফোনে ধারণ, নোবেলের বিরুদ্ধে আরও যেসব অভিযোগ ৩ ঘণ্টা আগে তখন আইনজীবী জসীমউদ্দীন আদালতকে বলেন, মাননীয় আদালত, নোবেলের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর পারিবারিক মনোমালিন্য হয়েছিল। পরে পুলিশ তাঁকে ডাকলে নিজেই তিনি থানায় যান। থানা-পুলিশ নোবেলকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে চালান দিয়েছে। যে কারণে বিয়ের কাবিননামাসহ অন্যান্য কাগজপত্র তাৎক্ষণিকভাবে জোগাড় করতে পারেননি। গায়ক মাঈনুল আহসান নোবেলকে হাজতখানায় নেওয়া হচ্ছে। ঢাকা, ২০ মেছবি: আসাদুজ্জামান নোবেল আদালতের কাছে দাবি করেছেন, যিনি মামলা করেছেন, তিনি তাঁর স্ত্রী। আদালত উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে নোবেলকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর বিচারক এজলাস ছেড়ে যান। একজন পুলিশ সদস্য কাঠগড়ায় নোবেলের মাথায় হেলমেট পরিয়ে দেন। তাঁর দুই হাত পেছনে নিয়ে পরিয়ে দেন হাতকড়া। আটতলা থেকে লিফটে করে নোবেলকে নেওয়া হয় নিচতলায়। বৃষ্টি হচ্ছিল তখন। বৃষ্টির মধ্যে নোবেলকে আদালতের বারান্দা থেকে দ্রুত হাজতখানায় নিয়ে যায় পুলিশ। নির্যাতনের ফুটেজ নোবেলের নানাবাড়ির মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও নোবেলের একজন আত্মীয়র সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ডেমরার যে বাসা থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করা হয়েছে, সেই বাসা নোবেলের নানাবাড়ি। নোবেলের গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জে। তাঁর মা–বাবা গ্রামেই থাকেন। ডেমরায় নানাবাড়িতে তাঁর মা উত্তরাধিকার সূত্রে ওই ফ্ল্যাটের মালিক। ফ্ল্যাটের তিনটি কক্ষ। সেখানে নোবেলের গানের স্টুডিও রয়েছে। পাশাপাশি তিনি সেখানেই থাকেন। বাসার তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় নোবেলের আত্মীয়রা থাকেন। আরও পড়ুন অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় গায়ক নোবেল গ্রেপ্তার ৯ ঘণ্টা আগে সম্প্রতি ভুক্তভোগী নারীকে নির্যাতনের যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে, সেটিই নোবেলের নানাবাড়ির। তদন্ত কর্মকর্তা মুরাদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা নোবেল এবং ভুক্তভোগী নারী—দুজনকেই জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। ভুক্তভোগী নারী দাবি করেছেন, নোবেল প্রায়ই তাঁকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে সেদিন নোবেলের বাসা (দ্বিতীয় তলা) থেকে তিনি (নারী) তৃতীয় তলায় নোবেলের মামার বাসায় যান। বিষয়টি টের পেয়ে নোবেল তৃতীয় তলায় যান। সেখান থেকে ওই নারীকে টেনেহিঁচড়ে আবার দ্বিতীয় তলায় নিয়ে যান।’ পুলিশ কর্মকর্তা মুরাদ হোসেন বলেন, নানাবাড়ির কোনো আত্মীয়র সঙ্গে নোবেলের সম্পর্কের অবনতি হয়েছিল। ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার (সিসি ক্যামেরা) ফুটেজ তাঁরই এক আত্মীয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেড়ে দেন। তাতেই ভুক্তভোগী নারীর নির্যাতিত হয়ে সাত মাস ধরে আটকে থাকার তথ্য সবাই জানতে পারেন। ওই নারীর বরাত দিয়ে তদন্ত কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, ভুক্তভোগী নারী সাত–আট মাস ধরে প্রচণ্ডভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এই সময়ের মধ্যে ওই নারী তাঁর মায়ের সঙ্গে মাত্র দুবার কথা বলার সুযোগ পেয়েছিলেন। অবশ্য নোবেলের এক আত্মীয় প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন, ভুক্তভোগী নারী নোবেলের স্ত্রী, তিনি অন্তঃসত্ত্বা। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি হয়েছিল। যে কারণে দ্বিতীয় তলায় নোবেলের বাসা থেকে তৃতীয় তলায় নোবেলের এক আত্মীয়র বাসায় যান ওই নারী। নোবেল ওই নারীকে ধর্ষণ করেননি। পুলিশ কর্মকর্তা মুরাদ হোসেন বলেন, ওই নারীর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়ে ভুক্তভোগী নারী এবং নোবেলকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। ওই নারী দাবি করেছেন, তিনি অন্তঃসত্ত্বা। তবে ফরেনসিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার আগে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কোনো তথ্য বলা সম্ভব নয়। পরীক্ষার জন্য আদালতের কাছে আবেদন করা হবে।

আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে ছাড়া পান চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া। কারাগার থেকে বের হয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি এই অভিনেত্রী। তবে এই সময়ে যাঁরা পাশে ছিলেন, তাঁদের উদ্দেশে ফেসবুক পেজের এক স্ট্যাটাসে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এই নায়িকা। নুসরাত ফারিয়া জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর সুখবরটি ভক্তদের সঙ্গে ভাগাভাগি করেন ৪টা ২০ মিনিটে। তিনি ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা, যাঁরা আমার পাশে ছিলেন। শারীরিক অসুস্থতার জন্য আজ কথা বলতে পারিনি। সুস্থ হয়ে খুব দ্রুত ফিরে আসব আপনাদের মাঝে।’ হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়াকে গতকাল সোমবার আদালত থেকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে আজ সকালে আদালত তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত এ আদেশ দেন। দুপুর ১২টার দিকে জামিনের কাগজ কারাগারে পৌঁছায়। যাচাই-বাছাই শেষে তাঁকে স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। নুসরাত ফারিয়া নুসরাত ফারিয়াফেসবুক থেকে গত রোববার সকালে থাইল্যান্ডে যাওয়ার সময় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট থেকে নুসরাতকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাঁকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। মামলার কাগজপত্রের তথ্য বলছে, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান চলাকালে গত ১৯ জুলাই রাজধানীর ভাটারা এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন এনামুল হক (৩৫)। গত ৩ মে এনামুল হক ঢাকার সিএমএম আদালতে ২৮৩ জনের বিরুদ্ধে নালিশি মামলা করেন। এর মধ্যে নুসরাত ফারিয়াসহ ১৭ অভিনেতা-অভিনেত্রীকে আসামি করা হয়। আদালতের নির্দেশে মামলাটি ৩ মে এজাহার হিসেবে রেকর্ড হয়। মামলার দুই সপ্তাহ পর গ্রেপ্তার করা হয় নুসরাতকে।

আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে ছাড়া পান চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া। কারাগার থেকে বের হয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি এই অভিনেত্রী। তবে এই সময়ে যাঁরা পাশে ছিলেন, তাঁদের উদ্দেশে ফেসবুক পেজের এক স্ট্যাটাসে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এই নায়িকা। নুসরাত ফারিয়া জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর সুখবরটি ভক্তদের সঙ্গে ভাগাভাগি করেন ৪টা ২০ মিনিটে। তিনি ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা, যাঁরা আমার পাশে ছিলেন। শারীরিক অসুস্থতার জন্য আজ কথা বলতে পারিনি। সুস্থ হয়ে খুব দ্রুত ফিরে আসব আপনাদের মাঝে।’ হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়াকে গতকাল সোমবার আদালত থেকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে আজ সকালে আদালত তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত এ আদেশ দেন। দুপুর ১২টার দিকে জামিনের কাগজ কারাগারে পৌঁছায়। যাচাই-বাছাই শেষে তাঁকে স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। নুসরাত ফারিয়া নুসরাত ফারিয়াফেসবুক থেকে গত রোববার সকালে থাইল্যান্ডে যাওয়ার সময় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট থেকে নুসরাতকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাঁকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। মামলার কাগজপত্রের তথ্য বলছে, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান চলাকালে গত ১৯ জুলাই রাজধানীর ভাটারা এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন এনামুল হক (৩৫)। গত ৩ মে এনামুল হক ঢাকার সিএমএম আদালতে ২৮৩ জনের বিরুদ্ধে নালিশি মামলা করেন। এর মধ্যে নুসরাত ফারিয়াসহ ১৭ অভিনেতা-অভিনেত্রীকে আসামি করা হয়। আদালতের নির্দেশে মামলাটি ৩ মে এজাহার হিসেবে রেকর্ড হয়। মামলার দুই সপ্তাহ পর গ্রেপ্তার করা হয় নুসরাতকে।

কিশোরগঞ্জে কবর তৈরির কারিগর মনু মিয়া এ পর্যন্ত খনন করেছেন ৩ হাজার ৫৭টি কবর। কারও মৃত্যুসংবাদ কানে আসামাত্রই খুন্তি, কোদালসহ প্রয়োজনীয় সব যন্ত্রপাতি নিয়ে লাল রঙের ঘোড়ায় করে ছুটে যান কবরস্থানে। সেই ঘোড়াটি আর জীবিত নেই। দুষ্কৃতকারীরা ঘোড়াটি হত্যা করেছে। মনু মিয়ার ঘোড়া হত্যার খবর ছুঁয়ে গেছে অভিনেতা খায়রুল বাসারকেও। সোমবার একটি ভিডিও পোস্ট করে ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘মনু মিয়াকে আমি ঘোড়া কিনে দিতে চাই। ঘোড়া কিনে দেওয়ার বিনিময়ে আমার কবর খোঁড়া পর্যন্ত আল্লাহ উনাকে বাঁচিয়ে রাখুন। কেউ যদি মনু মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের ব্যবস্থা করে দিতে পারেন কৃতজ্ঞ থাকব। খোঁজ পেয়ে সোমবার রাতেই হাসপাতালে মনু মিয়ার সঙ্গে দেখা করেন খায়রুল বাসার। দীর্ঘক্ষণ কথাও বলেন তার সঙ্গে। সেই ছবিও সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করে মনু মিয়াকে নায়ক বলে সম্বোধন করেন বাসার। আরো পড়ুন খায়রুল বাসার লিখেছেন, ‘আজ এক নায়কের সাথেই দেখা হলো আমার। আমি নিজ চোখে এক নায়ককেই দেখে আসলাম, বুক মেলালাম এক নায়কের সাথে! আজন্ম এক নায়ক মনু মিয়া। এই নায়কের গল্প বলবো শিগগিরেই। এটুকু বলি, মনু মিয়া অসহায় না বরং অসহায়ের সহায় হয়ে ওঠার প্রচণ্ড শক্তি আছে তার। এই দিশাহীন সমাজে এক আদর্শের নাম মনু মিয়া।’

বুদ্ধের বয়স তখন আশি বছর। তিনি জ্ঞাত হলেন, তিনি আর বেশিদিন বাঁচবেন না। শিষ্য আনন্দকে ডেকে তিনি ধর্ম বিষয়ে শেষ উপদেশ দিলেন। বয়সের ভারে বুদ্ধের শরীরের বল কমে গেল। এ গ্রাম ও গ্রাম। এ শহর ও শহর ঘুরতে তাঁর খুব কষ্ট হতে লাগলো। তারপরও জ্ঞান বোধিতে তিনি যা পেয়েছিলেন তা-ই সকলকে বোঝাতে লাগলেন। এক কামারের বাড়িতে খেলেন ‘সুকুর মদ্দর’; কেউ বলেন এটা হল ‘ব্যাঙের ছাতা’, আবার কেউ বলে ‘কচি শুয়োরের মাংস’। খাবার পর তাঁর খুব পেটে ব্যাথা হল। তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লেন। বুড়ো বয়সে অসুস্থ শরীরে তিনি হাঁটতে পারছিলেন না। তখন তিনি আনন্দকে বললেন, দুটি শালগাছের মাঝের ফাঁকে চাদর বিছিয়ে দিতে। তাঁর জন্মও হয়েছিল ‘লুম্বিনী’তে দুই শালগাছের মধ্যে। আনন্দ তখন বুদ্ধকে যত্ন করে শুইয়ে রেখে খুব কাঁদলেন। বুদ্ধ তাঁকে সান্ত্বনা দিয়ে বোঝালেন, সমস্ত প্রাণীকেই একদিন মরতে হয়। এ নিয়ে পরিতাপ করা কি ঠিক? বুদ্ধ আনন্দকে বললেন, সমস্ত শিষ্যদের প্রতি তাঁর কিছু বলার কথা আছে। তারপর দলে দলে শিষ্যরা এসে দাঁড়াল। বুদ্ধ তাঁদের বললেন - ‘ধর্ম’, ‘সঙ্ঘ’ ও ‘বুদ্ধ’কে মনে রেখে তাঁরা যেন নিজেদের জীবন চালায়, মন থেকে সব রকমের লোভকে সরিয়ে দেয়। খানিক পরে ধীরে ধীরে তাঁর নিঃশ্বাস থেমে গেল। সেদিন ছিল ‘বৈশাখী পূর্ণিমা’। শিষ্যরা গভীরভাবে শোকে ডুবে রইল। তারা খুব ঘটা করে মৃতদেহের সৎকার করল। ‘দ্রোণ’ নামে তাঁর এক শিষ্য বললেন, গৌতম বুদ্ধের ইচ্ছা, তাঁর দেহ যেন পূজার জন্যে ব্যবহার না করা হয়। তাই তাঁর দেহের অবশেষের কিছু কিছু নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ‘আটটি স্তূপ’ করা হল। তখনকার ধর্মীয় আচার ছিল বহু পশু বধ করে মহা ধুমধাম করে যাগযজ্ঞ করা; যদিও সেটা বুদ্ধ মানেন নি। আর এক রকমের ধর্মীয় আচার ছিল, শরীরকে কষ্ট দিয়ে উপবাস করা। না ঘুমিয়ে, নানা কষ্টকর অবস্থায় বসে দাঁড়িয়ে ধ্যান করে যাওয়া; এ-ও বুদ্ধ মানেন নি। অতিরিক্ত ভোগ সুখের জীবনকে তিনি বারণ করেছিলেন। আবার বাড়াবাড়ি রকম কষ্টকর সাধনাতেও তাঁর সায় ছিল না। তাঁর মতে চারটি আর্য সত্য ছিল - ‘মৈত্রী’ অর্থাৎ সকল জীবনকে ভালোবাসা, ‘করুণা’ অর্থাৎ সকল জীবের প্রতি দয়া, ‘মুদিতা’ অর্থাৎ সকল জীবের প্রতি সহানুভূতি ও ‘উপেক্ষা’ অর্থাৎ মনটাকে শান্ত, অবিচল রাখা। সংসারে নানারকম দুঃখ আছে, সে সব দুঃখের কারণও রয়েছে। আবার দুঃখকে বিনাশও করা যায়। উপায় হল, মন থেকে সমস্ত বাসনা ঝেড়ে ফেলা, লোভকে উপড়ে ফেলা। বুদ্ধকে প্রায়ই লোকেরা 'ঈশ্বর' ‘ভগবান’, ‘আত্মা’, ‘পরলোক’ এ’সব নিয়ে প্রশ্ন করত। যদিও বুদ্ধ কখনোই এসব প্রশ্নের কোনো উত্তর না দিয়ে বরং চুপ করে থাকতেন। তাঁর মতে, পৃথিবীতে এই জীবনের চোখের সামনে মানুষের এত দুঃখকষ্ট যখন দেখা যাচ্ছে, তখন সেগুলো দূর করাই তো আসল কাজ; ওই সব প্রশ্ন নিয়ে মাথা ঘামানোর কোনো দরকারই বা কী? বুদ্ধের কাছ থেকে এই পৃথিবী নতুন যা পেল তা হল, জীবন মাত্রই ভালোবাসতে হবে। ‘জাতপাত’ তিনি একেবারেই মানতেন না। যে ‘আম্রপালী’ অশুচি জীবন যাপন করত সেও শিষ্য, যখন সে পুরনো জীবন থেকে ফিরে নতুন জীবনের দিকে ঘুরল তখন বুদ্ধের দয়া পেল, দীক্ষা নিয়ে তাঁর ভক্ত হল। খুনেডাকাত ‘অঙ্গুলিমাল’ও অন্যায় পথ ছেড়ে এসে বুদ্ধের শিষ্য হল। কামারের ঘরে মাংসও তিনি খেতে পারেন। জাতিভেদ তখনকার সমাজের মস্ত বড়ো এক অভিশাপ ছিল, তাকে পুরোপুরি অস্বীকার করলেন বুদ্ধ। তিনি স্পষ্ট করে বললেন, ‘জন্মের দ্বারা কেউ ব্রাহ্মণ বা চণ্ডাল হয় না, কর্মের দ্বারাই হয়’। ধনীরা বহু পশু হত্যা করে নানা ‘যজ্ঞ’ করত; বুদ্ধ বললেন - ‘ওতে ধর্ম নেই’। ‘সকল প্রাণীকে ভালোবাসার মধ্যেই আছে আসল ধর্ম’। বুদ্ধের শাস্ত্র বলে - ‘‘বহুজনহিতায়, বহুজনসুখায়, লোকানুকম্পায়ৈ, মহতো জনকায়স্যার্থায়।।’’ অর্থাৎ, ‘‘বহু মানুষের মঙ্গলে, বহু মানুষের সুখের জন্য, প্রাণীদের প্রতি মমতার বশে, বৃহৎ মানবজাতির কল্যাণে।’’ মানুষের ধর্ম যদি মানবিকতা হয়, এর চেয়ে বড়ো করে ধর্মকে কেউ কখনো ভাবেনি, এর চেয়ে উঁচু করে ধর্মকে কেউ কখনো দেখেনি; বুদ্ধের আগেও নয়, বুদ্ধের পরেও নয়। ©রাজিক হাসান

মঙ্গলবার (১৩ মে) রাত সোয়া ১১টার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফাইড অ্যাকাউন্টে দেয়া এক পোস্টে বিষয়টি জানিয়েছেন তিনি। পোস্টে ডিএনসিসি প্রশাসক লিখেন, ‘আজকে যে তিনজনের রিকশা ভাঙা হয়েছে, তাদের ক্ষতিপূরণ দেয়া হচ্ছে। মেইন রোডে না আসার জন্য তিনটি রিকশা ভাঙা হয়েছিল। আমরা পরিবারগুলোকে আয়ের বিকল্প ব্যাবস্থার জন্য উদ্যোগ নিচ্ছি।’ এর আগে দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডি ও আসাদগেট এলাকায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সহযোগিতায় ব্যাটারিচালিত অবৈধ রিকশার বিরুদ্ধে অভিযান চালায় ডিএনসিসি। এ সময় মূলসড়কে চলাচলরত আনুমানিক ১০০টিরও বেশি ব্যাটারি চালিত রিকশা জব্দের পাশাপাশি তিনটি রিকশা ভাঙা হয়। এছাড়া ধানমন্ডি এলাকায়ও আরও পড়ুন: মূল সড়কে চলবে না রিকশা, বন্ধ হবে চার্জিং পয়েন্ট অভিযান পরিচালনাকালে সাংবাদিকদের ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, ‘এক সমীক্ষায় দেখা গেছে বর্তমানে ২০ শতাংশ দুর্ঘটনা এই ব্যাটারি চালিত রিকশা কারণে হচ্ছে। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শহরের নারী ও শিশুরা। এগুলো কোনো নীতিমালা বা যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হয় নাই। প্রায়ই দেখা যায় পথচারীদের ওপর উঠে যাচ্ছে, অনিয়ন্ত্রিত গতির কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।’ ব্যাটারি চালিত নিরাপদ রিকশা নকশা তৈরি করে কয়েকটি কোম্পানিকে প্রস্তুতের জন্য অনুমতি দেয়া হয়েছে জানিয়ে মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘চলতি মাসেই রিকশা চালকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। প্রশিক্ষণ শেষে উত্তীর্ণরাই বৈধ লাইসেন্স পাবেন এবং অনুমোদিত কোম্পানির তৈরি রিকশা শহরের নির্দিষ্ট এলাকায় চালাতে পারবেন। এক এলাকার বৈধ রিকশা অন্য এলাকায় যেতে পারবে না। যাত্রী ভোগান্তি কমাতে ভাড়াও নির্ধারিত থাকবে।’

ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদকে মারধর, ভাঙচুর ও ভয়ভীতি দেখানোর মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এরমধ্য দিয়ে এ মামলায় তার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়েছে। এছাড়া আদালতে হাজির না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। রোববার (২৬ জানুয়ারি) ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তার সময় আবেদন নামঞ্জুর করে এ পরোয়ানা জারি করেন। আসামির আইনজীবী জানান, অসুস্থ থাকায় পরীমনি আদালতে হাজির হতে পারেননি। সময় চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। তবে, সেটি আমলে নেননি আদালত। এর আগে, গত বছরের ১৮ মার্চ নাসির উদ্দিন মাহমুদকে মারধর, ভাঙচুর ও ভয়ভীতি দেখানোর সত্যতা পেয়ে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ঢাকা জেলার পিবিআই। একই বছরের, ১৮ এপ্রিল আদালত পিবিআই’র দেয়া তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে পরীমনিকে হাজির হতে সমন জারি করেন। পর্‌ গত ২৬ জুন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পান পরীমনি। এর আগে ২০২২ সালের ৬ জুলাই, আদালতে মামলাটি করেন ঢাকার সাভারের বোট ক্লাবের পরিচালক নাসির উদ্দিন মাহমুদ।

নিজেকে আড়াল করতে চান পরি মনি

থাইল্যান্ড যাওয়ার সময় আজ রবিবার দুপুরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আটক হয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া। এরপর বিমানবন্দরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে রাজধানীর ভাটারা থানায় হস্তান্তর করা হয়। বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশ সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। জানা গেছে, নুসরাত ফারিয়ার বিরুদ্ধে রাজধানীর ভাটারা থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় রয়েছে। সেই মামলায় তাকে আটক দেখিয়ে বিমানবন্দর থেকে ভাটারা থানায় হস্তান্তর করা হয়। ২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন রাজধানী ঢাকার ভাটারা থানাধীন এলাকায় হওয়া এক হত্যাচেষ্টা মামলায় নুসরাত ফারিয়াসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীকে আসামি করা হয়। এসব আসামি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমন করার জন্য বিপুল অর্থ জোগান দিয়েছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। মামলার নথিপত্র পর্যালোচনায় দেখা গেছে―সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সরকারের সংশ্লিষ্ট ২৮৩ জন ও অজ্ঞাতনামা তিন-চার শ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলাটি করেছেন এনামুল হক।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নুসরাত ফারিয়া আটক

কর্মকর্তাদের গাড়ির সামনে শুয়ে পড়লেন চাকরিচ্যুত সেনা সদস্যরা রোববার, ১৮ মে ২০২৫ চার দফা দাবি আদায়ে আন্দোলন করছেন সশস্ত্র বাহিনীর চাকরিচ্যুত সদস্যরা। এর অংশ হিসেবে রোববার বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে তাদের বৈঠক হয় সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে। তবে বৈঠক ফলপ্রসূ না হওয়ায় তারা কর্মকর্তাদের গাড়ি আটকে গাড়ির সামনে শুয়ে পড়েন। রোববার (১৮ মে) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভেতরে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে দুপুর ২টা থেকে সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকার্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন আন্দোলনকারীরা। তাদের দাবিগুলো হলো ১. চাকরিচ্যুতির সময় থেকে অদ্যাবধি সম্পূর্ণ বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধাসহ চাকরি পুনর্বহাল।২. যদি কোনো সদস্যের চাকরি পুনর্বহাল করা সম্ভব না হয়, তাহলে তাকে সরকারি সব সুযোগ সুবিধাসহ সম্পূর্ণ পেনশনের আওতাভুক্ত করতে হবে।৩. যে আইন কাঠামো ও একতরফা বিচার ব্যবস্থার প্রয়োগে শত শত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে সেই বিচার ব্যবস্থা ও সংবিধানের আর্টিকেল-৪৫ সংস্কার করতে হবে।৪. গতকাল গ্রেফতার হওয়া মুখ্য সমন্বয়ক সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত সৈনিক নাইমুল ইসলামকে মুক্তি দিতে হবে। আরও পড়ুন সশস্ত্র বাহিনীর চাকরিচ্যুত সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে সেনা সদর  অবস্থান কর্মসূচিতে চাকরিচ্যুত সৈনিক মো. রিপন হোসেন বলেন, তিন বাহিনী মিলিয়ে ৬০০ জনের মতো চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। বাধ্যতামূলক পেনশনে পাঠানো হয়েছে অনেককে। কোর্ট মার্শাল করে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুতি আমরা মানি না। সাবেক নৌবাহিনীর নাবিক এম বাহাউদ্দিন বলেন, ৪৫ মিনিট সময় দিয়েছি। আমাদের দাবির বিষয়ে আলাপ করতে ক্যান্টনমেন্ট থেকে যদি কেউ না আসে ৪৫ মিনিটের মধ্যে, তাহলে আমরা জাহাঙ্গীরগেটের উদ্দেশ্যে লংমার্চ শুরু করবো। এছাড়া আমাদের প্রধান সমন্বয়ক নাইমুল ইসলামকে মুক্ত করতে হবে।

অশ্লীলতার অভিযোগে উপস্থাপিকা তমার বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ অশ্লীলতার অভিযোগে উপস্থাপিকা তমা রশিদের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী। তার দাবি, টেলিভিশন চ্যানেলে উপস্থাপনার মাধ্যমে বাংলাদেশের সামাজিকতা, পারিবারিক মূল্যবোধ ও নৈতিকতার পরিপন্থি ভাষা ছড়াচ্ছেন এ উপস্থাপিকা। উপস্থাপিকা তমা রশিদ। ছবি: সংগৃহীত বিনোদন প্রতিবেদক ১ মিনিটে পড়ুন তমা রশিদ জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা ২০১৭ লঙ্ঘন করছেন। সংবাদমাধ্যমে আইনজীবী বলেন, ‘জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালার ধারা ৩.৬.৩ অনুযায়ী, শিশুদের মনস্তাত্ত্বিক, মানবিক ও নৈতিক গঠনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে এমন অশ্লীল, তথ্যগত ভুল এবং ভাষাগতভাবে অশোভন ও সহিংসতামূলক অনুষ্ঠান প্রচারে কঠোর সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশনা রয়েছে। তমা রশিদ এই নিয়ম অমান্য করেছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘নীতিমালার ৩.৬.৫ ধারাতেও স্পষ্ট বলা আছে, কোনো ধরনের অশোভন উক্তি বা আচরণ কিংবা অপরাধীদের কার্যকলাপ প্রদর্শনের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে, যা নতুন অপরাধ প্রবণতা তৈরির ঝুঁকি তৈরি করে। কিন্তু উক্ত উপস্থাপিকা তার অনুষ্ঠানে ধারাবাহিকভাবে এমন শব্দচয়ন করে চলেছেন, যা অশ্লীলতা ও কুরুচিপূর্ণ আচরণের উৎসাহদাতা হয়ে উঠছে। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী সামাজিক সংস্কৃতি রক্ষার স্বার্থে এসব কর্মকাণ্ড বন্ধের আহ্বান জানান তিনি। বলেন, ‘আমি একজন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও দেশের একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে তমা রশিদের এমন কার্যকলাপের বিরুদ্ধে আজকের এই নোটিশ প্রদান করছি। যাতে তিনি ভবিষ্যতে আর কোনোভাবেই অশ্লীল শব্দচয়নের মাধ্যমে অনুষ্ঠান পরিচালনা করতে না পারেন।’

ইন্টারনেটের দাম কমিয়ে জনগণের ব্যবহার উপযোগী করার আহবান জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। আজ শনিবার রাজধানীর বিটিআরসি ভবনে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ‘ইন্টারনেট দাম কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আইআইজি ও এনটিটিএন পর্যায়ে দাম কমানো হয়েছে। আগামী দুই এক মাসের মধ্যে গ্রাহক তার সুফল পাবে। তবে ইন্টারনেটের দাম কিভাবে আরও কমানো যায়, জনগণের ব্যবহার উপযোগী করা যায় তা নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষায় ইন্টারনেট ব্যবহারে আমরা অনেক এগিয়ে গেছি, তবে কৃষি ও স্বাস্থ্যে অনেক পিছিয়ে রয়েছি। এই দুই খাতে ইন্টারনেটের ব্যবহার বাড়াতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘দেশে বন্যা ও ঝড়ের সময় মোবাইল ইন্টারনেট ব্যহত হয়। বন্যা ও ঝড় আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। তবে সেই সময়ে ইন্টারনেট সেবা কিভাবে নিশ্চিত করা যায় তা ভাবতে হবে। দুর্যোগের সময় কিভাবে টেলিযোগাযোগ যেন নির্বিঘ্ন থাকে, সেই উদ্যোগ নিতে হবে।’ তিনি আরও বলেন ‘ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট করে দিয়ে জুলাই অভ্যুত্থানে গণহত্যা চালানো হয়েছিল। আমরা তখন জানতে পারিনি তখন কি হয়েছিল। পরে ইন্টারনেট আসার পরে আমরা জেনেছে। ইন্টারনেটকে নাগরিক অধিকার হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা করে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের খসড়া করা হয়েছে। এটি এই সরকারের একটি বড় অর্জন।’ আসিফ মাহমুদ ভূঁইয়া বলেন, ‘তথ্য প্রযুক্তি খাতে অনেক দেশি উদ্ভাবক সুযোগ সুবিধার অভাবে দেশ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিনই এই খাতের নতুন নতুন ইনোভেশনের খবর শুনি। সেখানে আমরা কতোটুকু কন্ট্রিবিউট করছি সেটা প্রশ্ন সাপেক্ষ। থ্রি জি, ফোরজি ও ফাইভ জির ক্ষেত্রেও একই। প্রযুক্তি ইনোভেশনের ক্ষেত্রে তরুণ প্রজন্মকে আরও বেশি সম্পৃক্ত হতে হবে। তিনি বলেন, তথ্য প্রযুক্তি ও ইন্টারনেটের নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। সাইবার স্পেসে নারীদের নিরাপত্তা দিতে আমরা ব্যর্থ হচ্ছি, সেটি স্বীকার করতে আমাদের দ্বিধা নেই। সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ আইনটি পাস হলে সাইবার স্পেস নারীদের জন্য আরও বেশি সুরক্ষিত হবে।’ ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘দেশের আইসিটি খাতে নারীদের আরও বেশি সম্পৃক্ত করতে সরকার কাজ করছে। সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ আইনটি কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পাস হবে। তখন সাইবার স্পেসে নারীদের সুরক্ষা দিতে সক্ষম হবে।’ তিনি বলেন, ‘ন্যাশনাল ইনোভেশন চ্যালেঞ্জে নারী উদ্যোক্তা ও কর্মীদের প্রাধান্য দেওয়া হবে। সবুজ পাতা নামের যে উদ্যোগ সেখানেও নারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।’ অনুষ্ঠানে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব ও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান অব. মেজর জেনারেল এমদাদ উল বারী। আরও উপস্থিত ছিলেন আইসিটি সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব জহিরুল ইসলাম। প্রসঙ্গত, ‘ডিজিটাল রূপান্তরে নারী-পুরুষ সমতায়ন’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ১৭ মে দেশে পালিত হচ্ছে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস। দিবসটি উপলক্ষ্যে সভা সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। এ ছাড়া বিটিআরসি প্রাঙ্গণে মেলা, ডাক টিকেট অবমুক্তকরণ ও হ্যাকাথন প্রতিযোগিতার আয়োজন রয়েছে। এদিকে দিবসটি উপলক্ষ্যে বিটিআরসি ভবন নানা ব্যানার ও ফেস্টুনে সেজেছে। দিনব্যাপী আয়োজনে রয়েছে মেলার আয়োজনও। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বিটিআরসি এরইমধ্যে ই-লাইসেন্সিং সেবা চালু করেছে। অনুষ্ঠানে একটি ন্যাশন ওয়াইড আইএসপি ও অপর এক ডিভিশনাল আইএসপির হাতে ই-লাইসেন্স তুলে দেওয়া হয়। বেশ কিছু ক্যাটাগরিতে অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেওয়া হয়।

পদ্মা সেতু নিয়ে ষড়যন্ত্র রোববার, ২৫ জুন ২০২৩   পাকিস্তানের পাঞ্জাবের শিক্ষাবিদ, গবেষক ও আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক ড. মালিকা-ই-আবিদা খাত্তাক পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডেইলি টাইমসে ‘বাংলাদেশের পদ্মা সেতুর গল্প: স্রেফ একটা সেতুর চেয়ে বড় কিছু?’ শিরোনামে একটি নিবন্ধ লিখেছিলেন। শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের স্বাক্ষর বহন করে পদ্মা সেতু। শেখ হাসিনার শাসনামলে বাংলাদেশের সক্ষমতা আরও একবার জানার সুযোগ পেল বিশ্ব। বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যারা বারবার তাদের সক্ষমতা দেখিয়েছে। পদ্মা সেতু নির্মাণ আন্তর্জাতিক পরিসরে বিনিয়োগ আসার জন্য একটি আস্থার প্রতীকে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাইকি।বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। সেই সরকারের মেয়াদকালেই  যমুনা সেতুর ওপর বঙ্গবন্ধু সেতুর কাজ সমাপ্ত করা হয়েছিল । গণমাধ্যমে কত রকম সংবাদ দেখছি ।  মিস্ইনফরশেশন , ডিসইফরমেশনে ছড়াছড়ি। কত রকম বিকৃত তথ্য উপস্থাপন করতে দেখছি। এখন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন বেগম খালেদা জিয়া নাকি পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন । যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু সেতু বিএনপি সরকারের কৃতিত্ব । অথচ যমুনা নদীর ওপর সেতু নিমার্ণের সময়কালের ৪৪ মাসের মধ্যে ২৪ মাস শেখ হাসিনার সরকার ছিল আর খালেদা জিয়ার সরকার ছিল ২০ মাসের । তাছাড়া বঙ্গবন্ধু সেতুতে রেললাইন ছিল না । শেখ হাসিনার সরকারের প্রথম  আমলেই বঙ্গবন্ধু সেতুর সেতুর মূল কাজ হয়েছে । এবং সেই সময়েই  শেখ হাসিনার প্রথম মেয়াদের  সরকারের  সময়ে ১৯৯৮ সালে পদ্মায় সেতু নির্মাণের প্রথম উদ্যোগ নেওয়া হয়। সমীক্ষা যাচাইয়ের পর ২০০১ সালের ৪ জুলাই সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয় । তারপর জামাত -বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসে এবং স্বাভাবিক কারনে পদ্মা সেতুর কোনো অগ্রগতি হবে না এটাই ছিল স্বাভাবিক। সেই সরকার ছিল এটা প্রতিহিংসাপরায়ণ সরকার । দেশের স্বার্থ এদের জন্যে বিবেচ্য বিষয় ছিল না । যেমন একটা উদাহরণ দিলে বিষয়টা পরিস্কার হয়ে যাবে ।২০০০ সালে  শেখ হাসিনার  সরকারের  সময়ে কম্পিউটার ক্রয় সংক্রান্ত  বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ড সরকারের মধ্যে একটি  চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছিল  ।  চুক্তি স্বাক্ষরের পর ডাচ সরকার টিউলিপ কম্পিউটারকে কম্পিউটার সরবরাহ ও প্রশিক্ষণের কাজ দেয়। সে অনুযায়ী কাজও শুরু করে প্রতিষ্ঠান। সরকার পরিবর্তন হওয়ায় এটা মন্ত্রিসভায় এসেছিল  পুন:অনুমোদনের আনুষ্ঠানিকতার জন্য। সাধারণত: সরকার পরিবর্তন হলেও এ ধরনের কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা অটুট থাকে। কিন্তু মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘টিউলিপ কম্পিউটার্স’ নাম শোনা মাত্র বেগম জিয়া ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছিলেন । তিনি বললেন, এই চুক্তি বাতিল করতে হবে। শিক্ষামন্ত্রী এবং শিক্ষাসচিব বললেন ‘নেদারল্যান্ড ইউরোপীয় ইউনিয়নের শক্তিশালী সদস্য। বছরে দেশটি বাংলাদেশকে ৩০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেয়।’ প্রধানমন্ত্রী রেগে গিয়ে বললেন ‘এই চুক্তি বাতিল করতেই হবে।’ একথা বলেই তিনি ক্যাবিনেট মিটিং থেকে উঠে গিয়েছিলেন ।‘টিউলিপ’ শেখ রেহানার মেয়ের নাম। ওই প্রতিষ্ঠান থেকে কেন কম্পিউটার কিনতে হবে?’ যদিও আদতে বিষয়টি তা নয়। টিউলিপ নেদারল্যান্ডের একটি কম্পিউটার প্রতিষ্ঠান। এর জন্ম ১৯৭৯ সালে। এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে শেখ রেহানা বা তাঁর পরিবারের কোনো সম্পর্ক নেই। এই চুক্তি বাতিল করলে বাংলাদেশকে ৪ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দেয়ার কথা ছিল। টিউলিপ লিমিটেড বাংলাদেশ সরকারের কাছে ৪ দশমিক ২ মিলিয়ন পাউন্ড ক্ষতিপূরণ চাইলো। কিন্তু আবার বেঁকে বসলেন বেগম জিয়া, তিনি বললেন ক্ষতিপূরণ দেওয়া যাবে না। টিউলিপ লিমিটেড মামলা করেছিল । আদালত বাংলাদেশ সরকারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল । কোর্টের আদেশও মানেননি বেগম খালেদা জিয়া। এরপর আন্তর্জাতিক আদালত বাংলাদেশে নেদারল্যান্ডের সহায়তা বন্ধের আদেশ দিল। বন্ধ হয়ে গেলো ডাচ অনুদান ও সহায়তা। তাছাড়াও বাংলাদেশের সকল উন্নয়ন প্রকল্প থেকেও নেদারল্যান্ড সরকারের সাহায্য সহযোগিতা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল । হিসেব মতো  বাংলাদেশের শিশু ও নারীরা ৫৬৭ কোটি টাকার সাহায্য থেকে বঞ্চিত হলো। অতএব বার বার দেখা গেছে আওয়ামী লীগ বিরোধিতা করতে বিএনপি দেশবিরোধিতায় সামিল হয়ে যায় । ১৯৯৬ -২০০১ মেয়াদে পদ্মাসেতুর ভিত্তি প্রস্তর নির্মাণের পর ২০০১ সালে ১ লা অক্টোবর নির্বাচনে জামাত বিএনপি ক্ষমতায় আসে ।   পদ্মা সেতু  সেতুর ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তায় পড়ে।  ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বিশ্বব্যাংক সেতু নির্মাণে অর্থায়নে আগ্রহ প্রকাশ করলে নতুন করে আশা জাগে। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ায় ষড়যন্ত্র ও বিশ^ব্যাংকে দেয়া অভিযোগ। এ সময় বিশ্বব্যাংক প্রকল্পের নির্মাণকাজ তদারকির জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ প্রক্রিয়া চলাকালীন কানাডার একটি কোম্পানি এসএনসি-লাভালিন’র কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনে। এর আলোকে ১২০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি বাতিল করে বিশ্বব্যাংক। ফলে আবারও ঘোর অনিশ্চয়তায় পড়ে সেতুর ভবিষ্যৎ। একই সঙ্গে বিশ্বব্যাংকসহ একাধিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা চুক্তি স্থগিত করে।যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং করপোরেশন (বিবিসি) ২০১২ সালের ৩০ জুন এক খবরে উল্লেখ করে, ‘বিশ্বব্যাংক বলছে, সেতু নির্মাণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের কর্মকর্তা, কানাডার পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি ব্যক্তিদের মধ্যে যোগসাজশে বিভিন্ন সূত্র থেকে দুর্নীতির বিশ্বাসযোগ্য তথ্য-প্রমাণ তাদের হাতে এসেছে। এসব তথ্য-প্রমাণ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, (তৎকালীন) অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের কাছে দেয় হয়েছে বলে বিশ্বব্যাংকের বিবৃতিতে বলা হয়। ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এবং ২০১২ সালের এপ্রিল মাসে এসব তথ্য-প্রমাণ দেয়া হয়।’তবে বিশ্বব্যাংকের এসব অভিযোগ প্রথম থেকেই প্রত্যাখ্যান করেছিল বাংলাদেশ।

চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। আটকের পর বুধবার (১ মে) রাত সোয়া ৯টার দিকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। এ এসম এক সাংবাদিক মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের কাছে জানতে চান মিল্টন সামাদ্দারের স্ত্রীর বিরুদ্ধে ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ আশ্রমের গুরুত্বপূর্ণ নথী সরিয়ে ফেলার অভিযোগ রয়েছে এ বিষয়ে ডিবি পুলিশের ভূমিকা কি। জবাবে ডিবি প্রধান জানান, চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইড কেয়ারের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রী মিতু হালদারকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। সব কিছু তদন্ত করা হবে। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে তা জঘন্য অপরাধ। প্রমাণ মিললে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। ডিবিপ্রধান বলেন, মিল্টনের বিরুদ্ধে মানবপাচার, শিশুদের ওপর হামলা, আত্মীয়-স্বজন গেলে তাদের মারপিট এবং তার টর্চার সেল, সব কিছুই মামলার মধ্যে আসবে। হারুন অর রশীদ বলেন, মিল্টনের বিরুদ্ধে আমরা অজস্র অভিযোগ পেয়েছি৷ তিনি বলেছেন তার দুইটা আশ্রম রয়েছে। সাভারের আশ্রমে ৫ থেকে ৭০০ লোক রয়েছেন। কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেখানে ২০ থেকে ৩০ জনের বেশি লোক নেই। কিছু অভিযোগকারী রয়েছেন, তারা মামলা করবেন। তিনি বলেন, মিল্টনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবো তিনি কত সংখ্যক মানুষের কাছে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন। তার আশ্রমে থাকা কত মানুষ মারা গেলো। আশ্রমে যে অপারেশন থিয়েটার রয়েছে, এর মাধ্যমে কিডনি বিক্রি করেছেন কি না সেটিও তদন্ত করা হবে। ডিবিপ্রধান আরও বলেন, মিল্টন সমাদ্দার নিজেই কেন ডেথ সার্টিফিকেট নিজের স্বাক্ষরে তৈরি করেছেন এবং সেখানে চিকিৎসকের কোনো সই নেই, সেগুলো খুঁজে বের করা হবে। আমরা সব কিছু তদন্ত করে পরবর্তী সময়ে আপনাদের জানাবো। আমরা তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ পেয়েছি, সেগুলো তদন্ত করে তাকে রিমান্ডে নিয়ে পরবর্তী বিষয়গুলো জানাবো। এখন যারা আশ্রমে রয়েছে তাদের কার্যক্রম চলবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মিল্টনের লোকজন সেখানে রয়েছে, স্বাভাবিকভাবেই আশ্রমের কার্যক্রম চলবে। এর আগে রাত ৮টার দিকে পাইকপাড়ার ওই প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালায় ডিবি। এদিন সন্ধ্যায় মানবতার ফেরিওয়ালার মুখোশের আড়ালে ভয়ংকর সব প্রতারণার অভিযোগ ওঠা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পরিচিত মুখ মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মিল্টন সমাদ্দার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ নামের বৃদ্ধাশ্রম গড়ে রাস্তা থেকে অসুস্থ কিংবা ভবঘুরেদের নিয়ে আশ্রয় দেন। সেসব নারী, পুরুষ ও শিশুকে নিয়ে ভিডিও তৈরি করে প্রায়ই তাকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করতে দেখা যায়। মানুষের অসহায়ত্ব তুলে ধরে তাদের জন্য বিত্তবানদের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেন। এর আগে গত ২৫ এপ্রিল একটি পত্রিকার প্রিন্ট ভার্সনে ‘মানবিক মুখোশের আড়ালে ভয়ংকর মিল্টন সমাদ্দার’ শিরনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।

প্রায়ই কাজের সূত্রে দেশের বাইরে পাড়ি জমান মেগাস্টার শাকিব খান। কখনো যুক্তরাষ্ট্র, কখনো সংযুক্ত আরব আমিরাত, আবার ভারতেও যান তিনি। মূলত ছবির শুটিংয়ের কাজেই বাইরে বাইরে এভাবে ঘুরে বেড়ান নায়ক। শোনা যাচ্ছে, এবার নতুন সিনেমার শুটিংয়ের জন্য দেশ ছেড়েছেন শাকিব খান। সপ্তাহখানেকের জন্য গেলেন দ্বীপ রাষ্ট্র শ্রীলঙ্কায়। শুক্রবার সকালের একটি ফ্লাইটে মেগাস্টার ঢাকা ত্যাগ করেছেন- এমনই খবর মিলল। জানা গেছে, সেখানে আসন্ন কোরবানির ঈদে মুক্তি পেতে যাওয়া সিনেমা ‘তাণ্ডব’ এর বাকি থাকা কিছু শুটিংয়ের কাজ সারবেন তিনি। ‘তাণ্ডব’ ছবির গান ও শেষের কিছু অ্যাকশন দৃশ্যের শুটিংয়ের কাজ করা হবে শ্রীলঙ্কা থেকে। শাকিবের সঙ্গে রয়েছেন সাবিলা নূরসহ ‘তাণ্ডব’ ছবির টেকনিক্যাল ক্রু ও অন্যান্য সদস্যরা। আরও জানা গেল, ইতোমধ্যে সিনেমার শুটিং অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে; যেগুলোর প্রায় ৭০ শতাংশ ঢাকা, রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে সম্পন্ন হয়েছে। গত বছর তুফানি সাফল্যের পর ‘তাণ্ডব’ এর মধ্য দিয়ে শাকিব খানকে নিয়ে ফের এক হলেন নির্মাতা রায়হান রাফী। ছবিটির প্রযোজনা করছেন শাহরিয়ার শাকিল। শাকিব-সাবিলা ছাড়াও ছবিতে আরও আছেন জয়া আহসান, এফএস নাঈম, আফজাল হোসেনসহ অনেকে।

যাই করেন, ছাত্রলীগ হইতে যাইয়েন না।’ এদিকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলমকে লক্ষ্য করে বোতল নিক্ষেপের ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, সমালোচনা গণতান্ত্রিক অধিকার—কিন্তু শারীরিক লাঞ্ছনা-বর্বরতা এবং সেটির কোনো যুক্তিসংগত ব্যাখ্যা নেই। বুধবার (১৪ মে) রাত ১১টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এমন প্রতিক্রিয়া জানান। হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘একজন রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধি হিসেবে মাহফুজ আলম সমস্যা সমাধানে গিয়েছিলেন, তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা কোনোভাবেই প্রত্যাশিত নয়। এ কথা স্পষ্টভাবে মনে রাখা প্রয়োজন—আপনাদের প্রতিনিধিত্বের দাবি বলেই তিনি আপনাদের কাছে এসেছেন। কিন্তু এ ধরনের উগ্র ও হঠকারী আচরণ ভবিষ্যতে কোনো ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে না, বরং গণতান্ত্রিক আন্দোলনের গ্রহণযোগ্যতাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করবে।’ তিনি বলেন, ‘মাহফুজ আলম আইনি পথে হাঁটবে কি না জানি না, তবে আন্দোলনের নেতৃত্বের উচিত প্রকাশ্যে দুঃখ প্রকাশ করা এবং ভবিষ্যতে এমন ন্যক্কারজনক আচরণ পুনরাবৃত্তি না হওয়ার নিশ্চয়তা দেওয়া।’ অন্যদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের আচরণও সন্দেহজনক উল্লেখ করে হাসনাত আবদুল্লাহ আরও বলেন, ‘সকল জনদাবির সম্মুখে ছাত্র উপদেষ্টাদের ঠেলে দিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টারা নিজেদের দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা স্পষ্ট। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বারবার আশ্বাস দেওয়া হলেও সেটির বিষয়ে কেন এখনো যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি, সেটিও এই অন্তর্বর্তী সরকারকে স্পষ্ট করতে হবে।’

হঠাৎ করেই ‘সান্ডা’ নামের একটি প্রাণী নিয়ে হইচই শুরু হয়ে গেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এ নিয়ে নেটিজেনরা নানারকম মন্তব্য করছেন। কেউ কেউ ভিডিও ও ছবিসহ পোস্ট করছেন। তারই কিছু নমুনা তুলে ধরা হলো জাগো নিউজের পাঠকদের জন্য। নাইমুল রাফিন লিখেছেন, ‘মাসটা কিন্তু মে মাস এখনই উপযুক্ত সময় সান্ডা ধরার।’ কীরে ভাই নামের একটি পেজে লেখা হয়েছে, ‘সান্ডাটা আসলে কী ভাই? এইডির কাহিনিডা কি কেউ বল ভাই।’ মেরাজকাউজিন পেজে লেখা হয়েছে, ‘কী যে একটা শুরু হইল দেশে এই সান্ডা নিয়ে। নিজেও বুঝতেছি না। হঠাৎ কী কারণে এটা নিয়ে এত হইচই সৃষ্টি হলো! কেউ বলতেছে, সৌদি আরবের কফিলের ছোট ছেলের জন্য সান্ডা নিয়ে যাচ্ছি। আবার কেউ বাংলাদেশ থেকে গুঁইসাপ ধরে সৌদি আরব রপ্তানি করবে ভাবতেছে। কেউ আবার সৌদি আরব থেকে সরাসরি সান্ডা আমদানি করে বাংলাদেশে নিয়ে আসতেছে। হঠাৎ এই সান্ডা নিয়ে এত হইচই কেন। যদি আপনারা কেউ জানেন কমেন্টে জানাতে পারেন। আরও পড়ুন মারা গেছে নির্যাতিত শিশুটি, নেটদুনিয়ায় ক্ষোভ  বাবা-মাকে পরামর্শ দিলেন মাহবুব কবীর মিলন  রিফাত রহমান লিখেছেন, ‘কফিল আর কফিলের মেয়ের সান্ডা খাইতে মন চাইলে কি গুঁইসাপ খাওয়াই দিবে?’ নূর জাহান লিখেছেন, ‘দেখতে গুঁইসাপের মতো হলেও সৌদি আরবের প্রিয় খাবার সান্ডা। আমার তো বিরিয়ানি খাওয়া শেষ হয়ে গেলো। নেন আপনাদের জন্য সান্ডার রেসিপি নিয়ে আসলাম।’ সাকিব মাহমুদ লিখেছেন, ‘অ্যাওয়ারনেস না ছড়াইলে আমি শিওর যে, কয়দিন পর কোনো এক রেস্টুরেন্ট গুঁইসাপের মাংস সান্ডা কইয়া বেচা শুরু করবে। আর প্রথম কাস্টমার হবে অশিক্ষিত ফুড রিভিউয়াররা।’ আরমান জুয়েল লিখেছেন, ‘যারা আজকে সারাদিন সান্ডা খুঁজতে খুঁজতে মরিয়া কিন্তু সান্ডা চিনতেছেন না। আপনাদের জন্য দিলাম এই ভিডিও। এটি সৌদিদের অনেক পছন্দের একটি খাবার। দামও ভালো বলা যায়। এটি মরুভূমির প্রাণী। দেখতে বাংলাদেশের গুঁইসাপের মতো দেখালেও এটির জাত ভিন্নতা রয়েছে। এটি হালাল খাবার এবং মুখরোচক বলেই জানা যায়। যারা খেতে ইচ্ছুক অবশ্যই সৌদি গেলে ব্যবস্থা হবে।’

কক্সবাজার থেকে ঢাকা অভিমুখী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট উড্ডয়নের পর উড়োজাহাজের একটি চাকা খুলে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। ওই অবস্থাতেই ঢাকায় নিরাপদে অবতরণ করেছে উড়োজাহাজটি। শুক্রবার (১৬ মে) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি ৪৩৬ ফ্লাইটটিতে ৭১ জন যাত্রী ছিলেন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) এবিএম রওশন কবীর জানান, কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকে আকাশে ওড়ার পরই পেছনের একটি চাকা খুলে নিচে পড়ে যায়। আমাদের ইঞ্জিনিয়ারিং টিম হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ের পাশে অবস্থান করছিলেন। পরে ভালোভাবেই ফ্লাইটটি অবতরণ করে।

অপেক্ষার পালা শেষ! আগের দিন মায়োর্কাকে হারিয়ে শিরোপার জন্য শেষ ম্যাচ পর্যন্ত বার্সেলোনাকে চ্যালেঞ্জ করে যাওয়ার ঘোষণা দেন রিয়াল মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলত্তি। কাতালান জায়ান্টরা সেই সুযোগ দিলো না। বৃহস্পতিবার রাতে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী এস্পানিওলের মাঠে জিতে দুই ম্যাচ হাতে রেখে লা লিগা চ্যাম্পিয়ন হলো বার্সেলোনা। আরসিডিই স্টেডিয়ামে ২-০ গোলে জিতেছে তারা। তাতে ২৮তম লিগ ট্রফি হাতে নিচ্ছে হ্যান্সি ফ্লিকের দল। ৩৬ ম্যাচে ৮৫ পয়েন্ট নিয়ে এক নম্বরে বার্সা। ৭৮ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে রিয়াল। শেষ দুই ম্যাচ কাতালানরা হেরে গেলেও মাদ্রিদ ক্লাব বাকিগুলো জিতে সাত পয়েন্টের এই ব্যবধান ঘুচাতে পারবে না। গত রবিবার বার্সেলোনার মাঠে ৪-৩ গোলে হারার পর শিরোপা জেতার জন্য বাকি তিন ম্যাচেই জিততে হতো রিয়ালকে এবং একই সমযে শীর্ষ দল যেন এক পয়েন্টের বেশি না পায়, সেই প্রার্থনা করতে হতো তাদের। কিন্তু ৫৩তম মিনিটে বক্সের ডানপাশ থেকে লামিনে ইয়ামালের বাঁকানো শটে বল জালে জড়ালে মাদ্রিদের শিরোপার আশায় বড় ধাক্কা লাগে। ১৭ বছর বয়সী স্প্যানিশ ফরোয়ার্ডের এটি ছিল চলতি মৌসুমে অষ্টম লিগ গোল। এক গোল করে স্বস্তিতে ছিল না বার্সা। তাদের কাছ থেকে পয়েন্ট উদ্ধারে প্রাণপণে লড়ে গেছে এস্পানিওল। তবে স্টপেজ টাইমের পঞ্চম মিনিটে চলতি লিগ মৌসুমে ইয়ামালের ১২তম অ্যাসিস্টে বক্সের ভেতরে আলগা বল পেয়ে লক্ষ্যভেদ করে জয় নিশ্চিত করেন ফারমিন লোপেজ। প্রথমার্ধে দুই দলের কেউই সেভাবে কোনও সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। বার্সা এই সময়ে ৭৮ শতাংশ সময় বল দখলে রাখলেও লক্ষ্যে কেবল একটি শট নিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয়ার্ধে এলো দুই গোল। এর মাঝে এস্পানিওল লাল কার্ডের কারণে হারায় লিয়ান্দ্রো কাবরেরাকে। ৭৯ মিনিটে ইয়ামালকে ফাউল করেন তিনি। ভিএআর দেখে রেফারি তাকে সরাসরি লাল কার্ড দেন। চ্যাম্পিযন্স লিগের সেমিফাইনালে দারুণ প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখলেও দ্বিতীয় লেগে অতিরিক্ত সময়ের গোলে হার মানে বার্সলোনা। তাতে চার শিরোপা জয়ের স্বপ্ন ভেঙে যায়। তবে এস্পানিওলের মাঠে জয়ে ফ্লিকের দল ঘরোয়া ট্রেবল জিতলো। এই মাসের শুরুতে কোপা দেল রে জয়ের আগে জানুয়ারিতে সুপার কাপ হাতে নিয়েছিল তারা। একবিংশ শতাব্দিতে এটি বার্সার ১২তম লিগ ট্রফি, যে কোনও স্প্যানিশ দল হিসেবে সবচেয়ে বেশি, যে তালিকায় ৯ ট্রফি নিয়ে দুই নম্বরে রিয়াল। তবে শীর্ষ পাঁচ লিগে বার্সার ওপরে কেবল বায়ার্ন মিউনিখ (১৮)। কাতালান ক্লাব শুক্রবার সন্ধ্যায় বিজয় মিছিল করার ঘোষণা দিয়েছে। বার্সেলোনা শহরের রাস্তায় ভক্তদের সঙ্গে দলের সাফল্য ভাগ করে নেবেন তারা। আগামী রবিবার ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে এস্তাদি লুইস কম্পানিসে মৌসুমের শেষ হোম ম্যাচের আগেও গান, আতশবাজির ঝলকানি দেখা যাবে বলে বিবৃতি দিয়েছে ক্লাব। সেই দিনই তাদের হাতে ট্রফি তুলে দেওয়া হবে। তারপর ২৫ মে অ্যাথলেটিক ক্লাবের মাঠে মৌসুমের শেষ ম্যাচ খেলবে বার্সা।

৬ বছরেরও প্রত্যাহার হয়নি ওসি প্রদীপের হাতে  নির্যাতিত সাংবাদিক ফরিদ মোস্তফার ৬ মামলা ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে, ২০২৫ খ্রী: মেজর সিনহা হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি খুনী ওসি প্রদীপ কুমার দাসের হাতে অমানবিক নির্যাতনের শিকার কক্সবাজারের সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা খানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ৬টি মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা এখনও প্রত্যাহার করা হয়নি। ফলে সাংবাদিক ফরিদ মোস্তফা পরিবার পরিজন নিয়ে নিরাপত্তাহীন ও মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অবিলম্বে সাংবাদিক ফরিদ মোস্তফার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম। বৃহস্পতিবার ১৫ মে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আহমেদ আবু জাফর বলেন, রাষ্ট্রীয় আইন ও বিচার বিভাগ আন্তরিক হলেই কেবল মামলা গুলো প্রত্যাহার করতে পারে। একই সাথে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র করে একজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা এবং চিকিৎসা খরচ বহনের ব্যাপারেও আদালত আদেশ দিতে পারেন। আমরা আশা করছি, সরকার দ্রুত মামলা গুলো প্রত্যাহার করা হবে। বিগত ৫ বছর আগে জামিনে কারামুক্তির পর এবং এর আগে পরিবারের পক্ষ থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয়, পুলিশ সদর দপ্তর, ডিসি, এসপি সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মহলে আবেদন নিবেদন করা হলেও রহস্যজনক কারণে তা ঝুলে আছে, প্রত্যাহার হয়নি মামলা। শুধু আবেদনের রিসিভ কপি আর দীর্ঘশ্বাস ছাড়া এই মুহূর্তে ফরিদুল মোস্তফার আর কিছুই নেই। ফরিদ মোস্তফা বলছেন, ওসি প্রদীপের মৃত্যুদন্ডাদেশ একটি যুগান্তকারী রায়। তবে প্রদীপের মামলার বোঝা আর সইতে পারছিনা। মামলা ও চিকিৎসা চালাতে আর্থিক দৈন্যদশায় সর্বশান্ত হয়ে পড়েছি। আমি পরিত্রাণ চাই, আমাকে উদ্ধারে দেশের সকল সাংবাদিক বন্ধুদের পাশে চাই । সূত্রমতে, বিচার বহির্ভুত মানুষ হত্যা, উখিয়া টেকনাফের সাবেক এমপি মাদকের গডফাদর আবদুর রহমান বদি, ওসি প্রদীপ এবং তার লালিত মাদক ঘুষ সিন্ডিকেটের মাদক নির্মুলের নামে নিজেদের মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে "টাকা না দিলে ক্রসফায়ার দেন টেকনাফের ওসি প্রদীপ" শিরোনামে ২০১৯ সালে কয়েকটি সংবাদ প্রকাশ করায় তিনি তৎকালীন কক্সবাজারের সাবেক পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন সিন্ডিকেটের রোষানলে পড়েন। ফলে সেই সময়ে মিথ্যা মামলা থেকে রেহাই পেতে সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সাথে দেখা করে জীবনের নিরাপত্তা এবং মিথ্যা মামলা থেকে রেহাই পেতে আবেদন করেন ফরিদুল। কিন্তু দুর্ভাগ্য জুলুম নির্যাতন হয়রানি থেকে  রেহাই পাওয়াতো দুরের কথা ফরিদুল মোস্তফা কে বিনা মামলায় ঢাকা থেকে ওসি প্রদীপের টেকনাফ থানা পুলিশ তুলে এনে ২০১৯ সালে কয়েক দিন আটকে পৈশাচিক নির্যাতন চালিয়ে অস্ত্র, মাদক ও চাঁদাবাজীর ৬ সাজানো মামলা দিয়ে চালান দেন আদালতে। তবে আশ্চর্যের বিষয় ঐ সময়ে ওসি প্রদীপের ভয়ে ফরিদ মোস্তফার ওপর অমানবিক নির্যাতন এবং ৬টি মামলায় জড়িয়ে হয়রানি, গ্রেফতারের খবর কোনো মিডিয়ায় প্রচারের সাহস পায়নি। কারাবন্দী ঘটনার সাড়ে ১০ মাস পর বিষয়টি বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের দৃষ্টি আকর্ষণ হয়। তখন সংগঠনের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করে ঢাকা থেকে সাংবাদিকদের ৭ সদস্যের একটি টিম কক্সবাজারে যান। সেখানে গিয়ে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারের পাশাপাশি  সংগঠনের আইন উপদেষ্টা পরিষদ ও শাখা কমিটির সদস্যদের অংশগ্রহণে বৈঠক করে আইনী লড়াইয়ে নামে সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ। বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে আইনী লড়াইয়ে তিনি টানা ১১ মাস ৫ দিন কারাভোগ করে জামিনে মুক্তি পান । অসুস্থ অবস্থায় কারাগার থেকে বের হবার পর চিকিৎসার জন্য বিএমএসএফ তাকে এক লাখ টাকা চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করে।  এদিকে ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে ফরিদ মোস্তফা একটি মামলা দায়ের করলে গত ৫ বছর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন পিবিআই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেননি।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি পূরণে সরকার কোনও পদক্ষেপ না নেওয়ায় বুধবার সারা রাত যমুনার সামনে অবস্থান করছিলেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) বেলা ১১টার পর তাদের সংখ্যা বাড়তে থাকে। ইতোমধ্যে শিক্ষকরাও আসতে শুরু করেছেন। শিক্ষকরা জানান, তারাও রাজপথে থাকবেন।

বিএনপি কর্তৃক রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১দফার লিফলেট বিতরণ :- গত ১৩ জুলাই ২০২৩ ইং তারিখে বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান কর্তৃক জাতির সামনে উপস্থাপিত রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১দফার লিফলেট চকরিয়া পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে পুরাতন এস আলম কাউন্টার থেকে আজ ১৫-০৫-২০২৫ ইংরেজী বিতরণ শুরু হয়। যা ওয়ার্ড পর্যায়ে ধারাবাহিক ভাবে বিতরণ অব্যাহত থাকবে। উক্ত লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চকরিয়া পৌরসভা বিএনপির সভাপতি সাবেক মেয়র জনাব আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম হায়দার, বৃহত্তর চকরিয়া উপজেলা যুবদলের সাবেক আহবায়ক ও পৌরসভা বিএনপি'র সাধারণ সম্পাদক জনাব এম. আব্দুর রহিম, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও পৌরসভা যুবদলের সাবেক সভাপতি, পৌরসভা বিএনপি'র সিনিয়র সহ-সভাপতি জনাব এম গিয়াস উদ্দিন, পৌরসভা যুবদলের সাবেক সভাপতি ও পৌরসভা বিএনপি'র সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব মাহমুদুল করিম, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও পৌরসভা বিএনপি'র যুগ্ন সম্পাদক জনাব মাহাবুবুল আলম মাবু, পৌরসভা বিএনপি'র প্রচার সম্পাদক জনাব এম কায়ছার হামিদ, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক জনাব এম. একরামুল হক, পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শরিফুল ইসলাম শরীফ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রানা হামিদ, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক এম সাজ্জাদুল ইসলাম সুমন, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মোঃ জয়নাল আবেদীন, সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজল কাদের সহ চকরিয়া পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক দলের ওয়ার্ড পর্যায়ের অসংখ্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

হিলি সীমান্তে ধানখেতে ড্রোন, পুলিশের ধারণা ভারত থেকে আসা দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার হিলি সীমান্তে ধানখেত থেকে একটি ড্রোন উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে সেখানে ধান কাটার সময় পড়ে থাকা একটি ড্রোন বাড়িতে নিয়ে যান এক কৃষিশ্রমিক। পরে রাতে বিজিবি ও পুলিশ ওই কৃষিশ্রমিকের কাছ থেকে ড্রোনটি থানায় নিয়ে আসে। এ সম্পর্কে আজ বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে হাকিমপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এস এম জাহাঙ্গীর আলম বলেন, হাকিমপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী ঘাসুড়িয়া গ্রামের একটি ধানখেতে ড্রোনটি পড়ে ছিল। স্থানীয় এক কৃষিশ্রমিক সেটি বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিলেন। তাঁর কাছ থেকে ড্রোনটি উদ্ধার করা হয়েছে। এতে পাঁচটি ক্যামেরা আছে। এ বিষয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ড্রোনটি ভারত থেকে এসেছে। এটি কোথা থেকে এসেছে বা এটি কারা উড়িয়েছে, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। বিজ্ঞাপন স্থানীয় ইউপি সদস্য মোবারক হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল দুপুর ১২টার দিকে ঘাসুড়িয়া গ্রামে সীমান্ত পিলার ২৮৭/২১ এস থেকে আনুমানিক ৩০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মেরাজুল ইসলামের জমিতে একদল কৃষিশ্রমিক বোরো ধান কাটছিলেন। এ সময় প্রফুল্ল টপ্প (৪২) নামের এক কৃষিশ্রমিক ধানখেতে একটি ড্রোন পড়ে থাকতে দেখেন। পরে সেটি নিয়ে সেখানকার কৃষিশ্রমিকদের মধ্যে অনেক কৌতূহল সৃষ্টি হয়। ধান কাটার কাজ শেষ করে ড্রোনটি বাড়িতে নিয়ে যান প্রফুল্ল টপ্প। বিজ্ঞাপন মোবারক হোসেন আরও বলেন, ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয় লোকজন মুঠোফোনে হাকিমপুর থানা ও বিজিবি ক্যাম্পে খবর দেন। গতকাল রাত ১০টার দিকে থানা–পুলিশ স্থানীয় বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে ঘাসুড়িয়া গ্রামে যায়। প্রফুল্ল টপ্পর বাড়ি থেকে ড্রোনটি উদ্ধার করে থানায় নেয় পুলিশ।

বাংলাদেশ সিমান্তে ভারতের ড্রোন উদ্ধার

ডিজিটাল এই যুগে সোশ্যাল মিডিয়ায় লুকিয়ে রাখার কোনো বিষয়ই নেই। পৃথিবীর এক প্রান্তের খবর মুহূর্তেই পেশ হয় অন্য প্রান্তের মানুষের সামনে। অজানাকে জানা এখন কোনো ব্যাপারই না। তবে কেবল খবর, জ্ঞান বা বিনোদন বিতরণ নয়, প্রায়ই সামাজিক মাধ্যমগুলোতে বিভিন্ন কোনো বিষয় ভাইরাল হয়। সেটি নিয়ে চলতে থাকে আলোচনা, সমালোচনা। এই যেমন বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে ‘সান্ডা’। মরুর দেশের একটি প্রাণী এটি। কিন্তু কেন এই প্রাণীকে নিয়ে এত আলোচনা? আরবের দেশগুলোতে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের অনেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘কফিলের জন্য সান্ডা ধরার’ ভিডিও দিচ্ছেন। কেউবা শেয়ার করছেন ছবি। বিষয়টি নিয়ে হাস্যঠাট্টাও কম হচ্ছে না। অনেক মিমও বানাচ্ছেন এই বিষয়টি নিয়ে। sanda1 সান্ডা কী: সান্ডা হলো আগামিডে পরিবারের টিকটিকিদের একটি গণ। অর্থাৎ টিকটিকির মতোই একটি প্রাণী এটি। দেখতে অনেকটা আমাদের পরিচিত গুইসাপের মতো। এর আদি নিবাস আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্য (পশ্চিম এশিয়া)।

বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সবাইকে দেশ ও জনগণের কল্যাণে একত্রে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। আজ বঙ্গভবনের ‘ক্রেডেনশিয়াল হলে ‘শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা ২০২৩’ উপলক্ষে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এ আহ্বান জানান। রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, ‘মানুষকে আলোর পথ দেখাবেন। দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করবেন।’ তিনি বলেন, পৃথিবীর সব ধর্মই মানুষের কল্যাণের কথা বলে। প্রতিটি ধর্মেই অনেক ভালো বিষয় আছে। রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন সব সময় যা উৎকৃষ্ট তা গ্রহণ এবং যা নিকৃষ্ট তা বর্জন করারও উপদেশ দেন। ‘মানুষের কল্যাণের জন্যই ধর্ম, অকল্যাণের জন্য নয়’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মানুষের জন্যই ধর্ম, ধর্মের জন্য মানুষ নয়।’ শুধু নিজে বা পরিবারকে নিয়ে ভালো থাকার চিন্তা না করে সকলকে নিয়ে ভালো থাকার চিন্তা করারও তাগিদ দেন রাষ্ট্রপতি। মহামতি বুদ্ধকে মানবতা ও মুক্তির পথিক হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় সম্প্রদায়ের অংশ। এই অঞ্চল তথা বিশ্বে শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকদের দায়িত্ব ও কর্তব্য অনেক বেশি বলেও মনে করেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন। তিনি বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতাদেরকে মহামতি বুদ্ধের শিক্ষাকে নিজের জীবনে প্রতিফলিত করতে এবং অন্যদেরকেও উৎসাহিত করার আহ্বান জানান। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের সঙ্গে মিশে আছে প্রাচীন বৌদ্ধবিহারসহ হাজার বছরের বৌদ্ধ ঐতিহ্য।’ মো. সাহাবুদ্দিন একটি সুখী-সমৃদ্ধ ও শান্তিময় বাংলাদেশ গড়তে গৌতম বুদ্ধের সুমহান শিক্ষা ও আদর্শকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান। রাষ্ট্রপতি সবাইকে সৎ ও সুন্দর জীবন-যাপনে উদ্বুদ্ধ হওয়া, ভালো কাজে অন্যকে অনুপ্রাণিত করা এবং নিজেদেরকে দেশের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিও গুরুত্বারোপ করেন। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে পবিত্র উৎসব বুদ্ধ পূর্ণিমা সারাদেশে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে। বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সঙ্গে রাষ্ট্রপতি এবং তাঁর সহধর্মিনী ড. রেবেকা সুলতানা আজ বিকাল চারটা থেকে করে প্রায় ঘণ্টা খানেক শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সাউন্ড সিস্টেমের মাধ্যমে বৌদ্ধ ধর্মীয় গান ও মিউজিক এর সঙ্গে রাষ্ট্রপতি শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতারা রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনকে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। অনুষ্ঠানে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান, এমপি, বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের উপসংঘরাজ শ্রীমৎ ধর্মপ্রিয় মহাথের, ধর্ম সচিব কাজী এনামুল হাসান, চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. প্রভাত চন্দ্র বড়ুয়া, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) প্রধান বার্তা সম্পাদক সমীর কান্তি বড়ুয়া, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্ত ভূষণ বড়ুয়া এবং ট্রাস্ট সচিব জয়দত্ত বড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতা, রাষ্ট্রদূত, হাই কমিশনার, বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশী মিশনের প্রধানগণ এবং আট শতাধিক আমন্ত্রিত অতিথিসহ প্রায় সহস্রাধিক লোক অংশ নেন।

EN দ্বিতীয় দিনেও যমুনার সামনে অবস্থান জবি শিক্ষার্থীদের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক অনলাইন ভার্সন আপডেট: ১২:১৬, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে, ২০২৫ দ্বিতীয় দিনেও যমুনার সামনে অবস্থান জবি শিক্ষার্থীদের ছবি : বাংলাদেশ প্রতিদিন। google_news কেউ খালি গায়ে শুয়ে আছেন, কেউবা জামাকাপড় বিছিয়ে সড়কে শুয়ে আছেন। কেউ গাছের পাতা ও ডালপালা মেলে রাস্তায় শুয়ে পড়েছেন, কেউবা ক্লান্ত শরীর নিয়ে সহপাঠীর কাঁধে হেলান দিয়েছেন। কেউ আবার বসে আছেন কিংবা সহপাঠীদের সঙ্গে গল্পে সময় পার করছেন। এমন চিত্রই দেখা গেছে কাকরাইল মসজিদের সামনে তিন দফা দাবিতে আন্দোলনরত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ‘যমুনা’ অভিমুখে সড়কে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, অনেক শিক্ষার্থী রাতভর সড়কে শুয়ে-বসে কাটিয়ে দিয়েছেন। তাদের সঙ্গে থেকে কয়েকজন শিক্ষকও রাস্তায় রাত কাটিয়েছেন। সকাল হতেই পুরান ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে দলে দলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে যোগ দিতে কাকরাইলে ছুটে আসছেন। সবার কণ্ঠে একটাই কথা- “দাবি মানতেই হবে। ” রাতভর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সড়কে অবস্থান করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদা দলের শিক্ষক ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মোশাররফ হোসেন এবং ব্যবসায় অনুষদের ডিন অধ্যাপক মঞ্জুর মোর্শেদ ভূঁইয়া। এছাড়া রাত আড়াইটা পর্যন্ত উপস্থিত ছিলেন ছাত্রকল্যাণ পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক কেএমএম রিফাত হাসান ও ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুমন কুমার মজুমদার। রাত দুইটা পর্যন্ত উপস্থিত ছিলেন প্রক্টর, সহকারী প্রক্টরসহ অনেক শিক্ষক। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে সড়কে অবস্থান নিয়েছেন শাখা ছাত্রদল, ছাত্র শিবির, ছাত্র অধিকার পরিষদ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী। একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, “এখান থেকে পিছিয়ে যাওয়ার কোনও সুযোগ নেই। আমাদের কোনও আবাসন নেই, আবাসন ভাতা দিচ্ছে না- রাস্তার উপরই আমাদের একমাত্র আশ্রয়। এত বঞ্চনার পর খালি হাতে ফিরে যাওয়া অসম্ভব। গতকাল (বুধবার) পুলিশের লাঠিপেটা, জলকামান, টিয়ার গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড খেয়ে, রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে, না খেয়ে পুরোদিন পার করেছি। এখন লিখিত আশ্বাস ছাড়া ক্যাম্পাসে ফিরব না। ” জবি শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন বলেন, “সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে সব ক্রিয়াশীল সংগঠন আছে। কাকরাইল মসজিদের ভেতরে প্রায় ৫০০ শিক্ষার্থী ও বাইরে রাস্তায় অসংখ্য শিক্ষার্থী অবস্থান করছে। তারা বিপ্লবের গান গেয়ে সময় পার করছে। রাস্তায় যখন নেমেছি, রাস্তাতেই সব দাবি আদায় করব। ” শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি এ কে এম রাকিব বলেন, “আমরা অধিকার আদায় না করে ঘরে ফিরব না। মার খেয়েছি, দরকার হলে আরও মার খাব। কিন্তু এবার কোনও আশ্বাসে রাজপথ ছাড়ছি না। ” শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মোশাররফ হোসেন বলেন, “আমি পিতা হয়ে সন্তানদের ফেলে যেতে পারি না। আমার শিক্ষার্থীরা যতক্ষণ আছে, আমিও ততক্ষণ থাকব। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ক্যাম্পাসে ফিরব না। ” শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি হলো- ১. আবাসনব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০% শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে কার্যকর করতে হবে। ২. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাঁটছাঁট না করেই অনুমোদন করতে হবে। ৩. বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করতে হবে। উল্লেখ্য, বুধবার (১৪ মে) দুপুর সাড়ে ১১টা থেকে তিন দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ‘যমুনা’ অভিমুখে কাকরাইল মসজিদের সামনে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

আরও পোস্ট লোড করুন কোনো ফলাফল পাওয়া যায়নি